শনিবার , ২০ মার্চ ২০২১ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্থানীয় ভাবে বালু মহাল না থাকায় রাণীশংকৈলে ভাটা মালিক ও ঠিকাদারদের মাথায় হাত!

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মার্চ ২০, ২০২১ ২:০৯ অপরাহ্ণ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজলায় বিগত দিনগুলিতে পুকুর নদী খাল-বিল থেকে বালু উত্তোলন করে ভাটা মালিক ও ঠিকাদারগণ নির্মান কাজ ও ইট ভাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের বালূ উত্তোলনে বাধা থাকায় লোকশানে পড়েছে ভাটা মালিক ও ঠিকাদাররা।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলায় মোট ২৪টি ইট ভাটা রয়েছে। প্রতিদিনে প্রতি ইট ভাটায় ইট উৎপাদন হয় প্রায় ৬০থেকে ৭০ হাজার। প্রতিদিন ২৪টি ইট ভাটায় ইট উৎপাদনের জন্য প্রায় ২০হাজার সেফটি বালুর প্রয়োজন। অপর দিকে এলজিইডি কর্তৃক এ উপজেলায় ১০কিলোমিটার রাস্থা নির্মানের কাজ চলছে। প্রতি কিলোমিটার রাস্তার কাজের বিপরীতে ৪০হাজার সেফটি বালুর প্রয়োজন। অপর দিকে এলজিইডি কর্তৃক স্কুল,ব্রীজ,কালভাট এ প্রায় ১০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। অপরদিকে পৌরসভার অধিনে প্রায় ১০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ চলমান, এ উপজেলায় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ২০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার আনিসুর রহমান বাকী কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমরা স্থানীয় ভাবে সল্প মুল্যে বালু পাওয়া যেতো । এর উত্তলিত ব্যয় কম হওয়ার কারণে সে ভাবে দর পত্র দাখিল করি। স্থানীয় ভাবে প্রতি সেফটি বালু উত্তলিত ব্যয় হয় ১০থেকে ১২ টাকা। স্থানীয় ভাবে বালু মহাল না থাকায় কারণে যেখানে বালু মহাল রয়েছে সেখান থেকে বালু উত্তলন ও আনার ব্যয় প্রায় ৬০ থেকে ৭০টাকা সেফটি মূল্য দরে ক্রয় করতে হয়। এতে করে দরপত্র দাখিলের সময় নিন্ম দরে কাজ নেওয়া হয় বালুর মূল্য এতো বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব জানান, আমরা প্রতিটি ইট ভাটা সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাস্ক দেই, তার পরও আমরা বালু পাচ্ছিনা। পূর্বে আমরা এলাকায় সহজ মূল্যে বালু পাওয়ার কারণে স্থাণীয় ভাবে ২৪টি ইট ভাটা নির্মিত হয়েছে। স্থানীয় ভাবে বালু না পাওয়া গেলে বালু মহাল থেকে চড়া মূল্যে বালু ক্রয় করতে হলে বৃদ্ধি পাবে ইটের দাম ব্যহত হবে উন্নয়ন কাজ। বালু মহাল সৃষ্টি না করে উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় বালু উত্তোলন প্রক্রিয়া চালু রাখা উচিৎ। 
এরই মধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলাার সহকারি কমিশনার ভূমি প্রীতম সাহা নদী কিংবা পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করলেই ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জরিমানা অব্যহত রেখেছেন এবং বালু উত্তোলনের স্থান গুলিতে সরাসরি গিয়ে জরিমানা করেন। এছাড়াও রাস্তায় ট্রাক্টর আটক করে শ্রমিক নেকা মনির হোসেন কে ৫ হাজার,মমিন পাড়ার শহিদুল ইসলাম কে ১০ হাজার ও বিরাশি গ্রামের বদরুল হোসেন কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ভয়ে স্থানীয় বালু বাহী যানগুলি বালু বহন না করায় বিপাকে পড়েছে ভাটা মালিক ও ঠিকাদাররা।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি প্রীতম সাহা বলেন, স্থানীয় ভাবে বালু মহালের কোন জায়গা আমি দেখিনা, আপনারা যদি প্রস্তাব দেন তাহলে মন্ত্রনালয়ের টেকনিক্যাল টিম এসে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, স্থানীয় ভাবে বালু মহাল চিহিৃত করে জেলা প্রশাসকের মতামত চাওয়া হয়েছে। ভ’মিহীনদের সরকারি ভাবে ঘর নির্মানের বালু নদী থেকে উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের কাজে বালু উত্তোলন করার বিধান রয়েছে।
 

 
 

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পঞ্চগড়ে যুক্ত প্রকল্পের আওতায় জেলা সিএসও ত্রৈমাসিক সভা

বীরগঞ্জে শোকে পরিণত হলো বৌভাতের উৎসব

আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে দিনাজপুর মহিলা পরিষদের মানববনন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে কোম্পানির প্রতিনিধির দেওয়া ভুল ঔষধ প্রয়োগে খামারির ৩ হাজার মুরগী মারা যান

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে পীরগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা

হরিপুরে সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা

চিরিরবন্দরে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

বোচাগঞ্জে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও কম্বল বিতরণ

বীরগঞ্জ উপজেলার ১৬০ পূজা মণ্ডপে ১১২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রযেছে

রাণীশংকৈলে করোনা প্রতিরোধ সভা