মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
২০১৬-২০২০ এর জন্য চীনের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং মেইড ইন চায়না ২০২৫ উদ্যোগ উভয়ই ৫জি কে একটি কৌশলগত উদীয়মান শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যার লক্ষ চীনা কোম্পানীগুলো বিশ্ববাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবনী হয়ে ওঠা।
ফাইভ আইস ইন্টারন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্সের চার সদস্য- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউএস চীনের হুয়াওয়ে টেলিকমিউনিকেশন্স যন্ত্রপাতির ব্যবহারকে বিশেষ করে ৫জি নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাপানও চীনা সরঞ্জামের ব্যবহারকে ব্যাপকভাবে নিরুৎসাহিত করেছে। ২০১২ সালে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছিল যে, কানাডিয়ান টেলিকম যন্ত্রপাতি সংস্থা নর্টেল নেটওয়ার্কস ২০০০ সালে চীনা হ্যাকারদের দ্বারা ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশের বিষয় ঘটেছে। যা অভ্যন্তরীণ নথিপত্র এবং অন্যান্য মালিকানা তথ্য অ্যাক্সেস করেছিল।
মার্কিন সিনেটর রুবি হুয়াওয়ে এবং জেডটিইকে রাষ্ট্র নির্দেশিত হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আমেরিকার ৫জি নেটওয়ার্কগুলিকে দুর্বল ও বিপন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক থাকতে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- হুয়াওয়ে বাণিজ্য ও গোপনীয়তা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরি করে এবং চীনা সরকার দ্বারা সমর্থিত কৃত্রিমভাবে কম দামের মাধ্যমে বিদেশী প্রতিযোগীতাকে দুর্বল করে।
২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে, নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দা সংস্থা গভর্নমেন্ট কমিউকেশন্স সিকিউরিটি ব্যুরো টেলিকমিউকেশন্স কোম্পানি স্পার্ককে তার পরিকল্পিত ৫জি আপগ্রেডে হুয়াওয়ে সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে অবরুদ্ধ করে। তারা দাবি করে যে, এটি একটি উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। ২০১৮ সালের আগষ্টে অস্ট্রেলিয়াও অনুরুপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমত হলো- বাংলাদেশ সরকারের ৫জি প্রযুক্তিতে কোনো চীনা বিনিয়োগের আগে, চীনা কোম্পানিগুলোর সমস্যা বিবেচনা এবং চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।