রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি ঃ তদারকি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের গাফিলাতির কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসূচী (চল্লিশ দিনের) কোন কাজে আসছেনা সরকারের।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাযায়, কর্মহীন সময়ে শ্রমিকরা কাজ করে টাকা পাবে, সরকার এ উদ্দেশ্য ৮টি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় মোট ১১০০জন শ্রমিকের তালিকা তৈরি করেছে। মজুরী হিসাবে প্রতিদিনে তাদের ৪০০টাকা হারে মজুরী দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যংকিংয়ের মাধ্যমে। কাজ শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিওয়ার্ডে প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রকল্পের তালিকা জমা দিতে হবে। কিন্তু কর্মসূচি শেষ প্রান্তে এলেও প্রকল্পর তালিকা জমা করেনি অনেকেই। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজে কলমে তদারকি কর্মকর্তা থাকলেও এ কর্মসূচি তদারকি করছেন না কেউ। প্রকল্পের তালিকা না থাকায় শ্রমিকরা নামে মাত্র বিভিন্ন রাস্তায় হাজিরা দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন। তা আবার শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন। ফলে সরকারের এ কর্মসূচি ভেস্তে যেতে বসেছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান , মেম্বাররা ভোটের আশায় শ্রমিকদের কাজ করার তেমন তাগিদ দিচ্ছেন না। এদিকে উপজেলা পরিষদ থেকে দেখভাল করার মতো কোন কর্মকর্তা নেই। যার ফলে শ্রমিকরা ইচ্ছে মাফিক তাদের দিন কাটাচ্ছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন রাস্তায় একটিও সাইন বোর্ড টাংঙ্গানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি বলেন,অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসূচী মুলত প্রধান মন্ত্রীর একটি পাইলট প্রকল্প কর্মহীন সময়ে শ্রমিকরা কাজ করে মজুরী পাবে। কিন্তু তালিকা প্রস্তুত করতে আর লেবারদের কাজে লাগাতে দেরি হওয়ায় এ অঞ্চলে ধান কাটা মৌসুম চলে এসেছে। তাছাড়া অত্র দপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী এ কাজটি তদারকি করেন। প্রকৌশলীর পদটি শূন্য থাকায় মাঝে মধ্যে আমরাই শ্রমিকদের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
কাজ শুরুর আগে প্রকল্পের তালিকা জমা না হওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির মুঠোফোনে বলেন, চেয়ারম্যানরা গতকালকে প্রতিইউনিয়নে ৫টি করে প্রকল্প জমা করেছে এটাকে আমি বৈধ্য বলছিনা । তারা হয়ত সে রাস্তায় কাজ করাচ্ছে তালিকা পরে জমা দিয়েছে। শ্রমিকরা সঠিকভাবে কাজ করছেননা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।