বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও গবেষক আফসানা মিমি বলেছেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ করতে হলে অভিভাবকদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে এবং যুব সমাজকে আরও বেশি বেশি সাংস্কৃতিক চর্চায় সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশেষ করে স্কুল কলেজসহ গ্রামে গঞ্জে স্থানীয় প্রেক্ষাপটের বিষয় নিয়ে পথ নাটক, কবি গানসহ জাতীয় অনুষ্ঠানে আমাদের সন্তানদের ব্যস্ত রাখতে হবে। মোবাইল ফোনের নেশা থেকে বের করে দেশপ্রেমভিত্তিক সুস্থ্য সাংস্কৃতিক চর্চার নেশায় আসক্ত করতে হবে।
গতকাল রোববার সুইহারী মির্জাপুর এনজিও ফোরাম এর হলরুমে ঝানজিরা সমাজ কল্যাণ সংস্থা (জেএসকেএস) এর আয়োজনে এবং রুপান্তর এর সহযোগিতায় সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ভূমিকা শীর্ষক মত বিনিময় সভায় তিনি প্রধান আলোচ্যক হিসেবে এ কথাগুলো বলেন।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নাগরিক ফোরাম দিনাজপুরের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেএসকেএস এর নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল। রুপান্তরের বিভাগীয় সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান রানার সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুরের সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু, সাধারন সম্পাদক রহমত উল্লাহ রহমত, এসইউপিকে’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন আখতার, মমতা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইয়াকুব আলী, বৈকালী নাট্যগোষ্ঠীর সাধারন সম্পাদক কাশী কুমার দাস ঝন্টু, উদ্যোগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক উম্মে নাহার, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা কামরুন নাহার প্রমুখ।
তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, দিনাজপুর জেলা একটি অসাম্প্রদায়ীক জেলা হিসেবে সারাদেশে পরিচিত ছিলো। অথচ বর্তমানে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গড়তে উগ্রবাদ সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারকেউ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন রুপান্তরের ক্যাপাসিটি বিল্ডার্স ফাহমিদা জাহান, জেএসকেএস এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী মর্জিনা রুপা, প্রকল্প কর্মকর্তা সাইফুল আলম।