জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বঙ্গবন্ধু কন্যা বন্যাসহ যে কোন দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে আছেন ও থাকবেন উল্লেখ করে বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলেই বাংলাদেশের সকল মানুষ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। অসহায় মানুষেরা সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ ১৩৫ রকম ভাতা দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাদের ঘর নাই তাদেরকে জমিসহ বাড়ী করে দিয়েছেন। একমাত্র শেখ হাসিনা এদেশের উন্নয়নের কান্ডারী। শেখ হাসিনা ছাড়া এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল সকল ধরনের ভাতা বন্ধ করা হয়েছিল। সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল এদেশের মানুষ। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেই এতিমের টাকা আত্মাসাৎ করে এখন জেল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় এককালীন আর্থিক সহায়তার চেক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রমিজ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন জেসমিন আরা জো¯œা, এসিল্যান্ড সাথী দাস, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক প্রামানিক, শহর সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাইনুল ইসলাম, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব ওয়াহেদুল আলম আর্টিষ্ট, দিনাজপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারন সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোকসেদ আলী রানা, আতাউর রহমান, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান গোপারল কিসকু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শহর সমাজসেবা কার্যালয় দিনাজপুরের ৭৫ জন রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে ৩৭ লাখ ৫০,০০০ হাজার টাকার চেক এবং উপজেলা সমাজসেবা কাযালয়, সদর, দিনাজপুরে ১০১জন রোগীকে ৫০,০০০/- টাকা করে ৫০,৫০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ১৭৬জন রোগীকে প্রায় ১ কোটি টাকার চেক প্রদান করা হয়।