বুধবার , ২২ জুন ২০২২ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষায় পানি বাড়ার সাথে খানসামায় বেড়েছে মাছ ধরার উপকরণ বিক্রি

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুন ২২, ২০২২ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ার সাথে সাথে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মাছ ধরার উপকরণ বিক্রি বেড়েছে। এ সময় দেশীয় বাঁশ-বেত দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির কারিগররা এবং বাড়ির মহিলারা অবসরে এসব উপকরণ তৈরী করে আয় করছে বাড়তি অর্থ। এলাকা ভিক্তিক এসব দেশীয় উপকরণের নাম- ভোরং,পলাই,ঢাংগি, ডাড়কি টইয়া, ডিড়ই, বানা, হেঙ্গা ও খোলসুন ইত্যাদি। পেশাদার ও মৌসুমী জেলেরা এসব দিয়ে মাছ ধরে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজার বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদী,নালা ও পুকুর-ডোবার মাছ ভেসে গেছে। এসব মাছ ছড়িয়ে পড়েছে জমিতে। এ সুযোগে লোকজন মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে। পানির মধ্যে মাছ ধরার জন্য এসব ফাঁদ রেখে দেওয়া হয়।
বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের তৈরি ভোরং নামের একটি যন্ত্র। এলাকা ভেদে এই যন্ত্রটিকে খোলসুন বলা হয়। আর বই-পুস্তকের ভাষায় বিটে বলা হয়। পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেওয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের মাছ ধরার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলার প্রধান হাট পাকেরহাটে দেখা যায়, মাছ ধরার কয়েক প্রকার এসব উপকরণ নিয়ে বসে আছে কারিগরেরা। পেশাদার ও সৌখিন মাছ শিকারীদের আনাগোনায় জমে উঠেছে এই বাজার। একেকটি উপকরণের দাম প্রকারভেদে প্রায় ৩শত টাকা থেকে প্রায় ৩হাজার।
উপকরণ কিনতে আসা ছাতিয়ানগড় গ্রামের মশিউর রহমান বলেন, ‘ আমাদের গ্রামের আশপাশের আবাদি জমি ও ছোট ছোট ডোবা নালা বর্ষার পানিতে ভরে গেছে। আর সেখানে দেখা মিলছে বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। আমি বর্ষাকাল শুরু হলেই মাছ ধরি, এটা আমার নেশা। তাই মাছ ধরার জন্য ভোরং কিনতে এসেছি।
প্রায় ১০ বছর থেকে এই উপকরণ তৈরী ও বিক্রি করেন ভান্ডারদহ গ্রামের সুখচাঁদ। তিনি বলেন, ‘আগের মতো তো আর বাঁশের উপকরণের বিক্রি নাই। এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে, তারা প্লাস্টিকের জিনিসপাতি ব্যবহার করেন। কুলা, ঝাড়ু, খইচালা আর কেউ বেশি নেয় না। তবে বর্ষাকাল আসলে একটু বেশি মাছ ধরার উপকরণ বিক্রি হয়।’ একেকটি উপকরণ বিক্রি করে আকারভেদে একশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। তবে আগের চেয়ে এসবে লাভ কমে গেছে শুধু বাপ-দাদার জন্য অনেকেই এখন এসব উপকরণ তৈরী ও বিক্রি করে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দর এখন গোচারণ আর ফসল শুকানোর চাতাল

সুন্দরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

আল আমানাহ্ ইসলামিক একডেমিতে অভিভাবক সমাবেশ

ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অপূর সৌন্দর্য প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ ।

দিনাজপুরে দুইদিনব্যাপী বার্ষিক কমিউনিটি  পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা

দিনাজপুরে দুইদিনব্যাপী বার্ষিক কমিউনিটি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা

পঞ্চগড়ে বই উৎসবে ২ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছে ২৩ লাখ ৫১ হাজার নতুন বই

বীরগঞ্জ প্রবীণ আ.লীগ নেতা আবুল কালাম এর নামাজের জনাজা অনুষ্ঠিত

টিউলিপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সাময়িক মূল্যায়নের সনদ ও পুরস্কার বিতরণ এবং প্রাক বড় দিনের গেটটুগেদার

দিনাজপুরে পৌষের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন –যুগ্ম সচিব হামিদুল হক