মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর এর চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম বলেছেন, কবিরা সমাজের সেই ব্যক্তি যিনি তার নিজস্ব আবেগ এবং লেখার মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। কবিরা যেমন আবেগ প্রবন হয়ে থাকে তেমনি কল্পচিত্র ও গল্পচিত্র নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে রচনা করেন কবিতা। বহু সাধনার পর একজন মানুষ প্রকৃত কবি হয়। যিনি নতুন কথা, নতুন ভাষায় কবিতা প্রকাশ করেন, তিনিই কবি। বাতাসে যে ছন্দ ভেসে বেড়াচ্ছে তা তুলে এনে কবিতার মালা সৃষ্টি করেন একজন কবি। উচ্ছাস ভাঁজপত্র নতুন লেখক ধারার সৃষ্টি করতে পারে।
গত সোমবার রাতে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কবিতা সত্তার অনুষঙ্গ উচ্ছাস ভাঁজপত্রের দশকপূর্তি উপলক্ষ্যে উচ্ছাস পরিবারের আয়োজনে এবং দিনাজপুর প্রেসক্লাব সাহিত্য পাঠাগার বিভাগের সহযোগিতায় মোড়ক উন্মোচন, সম্মাননা প্রদান, কবিতা পাঠ, কেক কাটা ও আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ড. মাসুদুল হক এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উচ্ছাস পরিবারের সদস্য গৌতম সেন সৌরভ। সুচনা বক্তব্য রাখেন উচ্ছাস ভাঁজপত্রের সম্পাদক তুষার শুভ্র বসক। আলোচ্যক হিসেবে আলোচনা করেন কবি সাহিত্যিক জ্যাকি ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি মাহমুদ আক্তার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুরের সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু। দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক জলিল আহমেদ, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাহিত্য পাঠগার বিভাগের সম্পাদক কাশী কুমার দাস ঝন্টু, বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক আজহারুল আজাদ জুয়েল, কবি মাহবুব আলী, বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ এবং শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়। কবিতা পাঠ করেন কবি নিরঞ্জন রায়, বাসব রায়, তরিকুল আলম, কবি কমল কুজুর ও কবি ইয়াসমিন আরা রানু। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কবি নিরঞ্জন হিরা। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদ্বয় সভায় উচ্ছাস ভাঁজপত্রের দশকপূর্তি অনুষ্ঠানের কেক কেটে এবং উচ্ছাস ভাঁজপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন। শেষে আয়োজকদের পক্ষে কবি মাহমুদ আক্তার ও ইয়াসমিন আরা রানু কবি দাম্পত্তিকে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।