সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, পরমত সহিষ্ণুতা, শ্রদ্ধাবোধ ধার্মিকতার প্রথম সোপান। প্রতিটি ধর্ম মানুষ কল্যাণে প্রবর্তিত। আর মানুষ কল্যাণেই যদি ধর্ম প্রবর্তিত হয়ে থাকে তবে ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি কোন ধর্মপ্রাণ মানুষের করা উচিত। তিনি বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মকে জনবিচ্ছিন্ন করবার জন্য সকল অপপ্রয়াসকে অব্যাহত রেখেছে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে হবে।
রোববার বিকেলে কাহারোল উপজেলার শ্রীশ্রী কান্তজীউ মন্দিরে সনাতন ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান ধর্মীয় আলোচকের বক্তব্য রাখেন ভারতের বৃন্দাবন হতে আগত কুঞ্জ বিহারী দাস বাবাজী মহারাজ। বিশেষ ধর্মীয় আালোকের বক্তব্য রাখেন ভারতের বৃন্দাবন হতে আগত অনন্ত দাস বাবাজী মহারাজ, বৈষ্ণব পদ দাস মহারাজ।
এসময় রাজ দেবোত্তর এস্টেট এর এজেন্ট রণজিৎ কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি স্বরুপ কুমার বকসী বাচ্চু, রাজ দেবোত্তর এস্টেট এর সদস্য এবং বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. ডিসি রায়, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রায়, ২ নং রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্র প্রমুখ।
এর আগে প্রথম আলো বন্ধু সভা দিনাজপুরের উদ্যোগে কান্তজীউ মন্দির প্রবেশ সড়কে প্রায় ৬ শতাধিক বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি।