দিনাজপুরে পৃথক পৃথক ঘটনায় নানার বাড়ীতে বেড়াতে এসে নদীতে গোসলে নেমে ভোলানাথ রায় ও জিতু নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত শিশুরা হলো, জিতু (১২) খানসামার পানুয়াপাড়ার চাল ব্যবসায়ী মহুবারের নাতনী এবং সে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী সদর উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার জুয়েলের মেয়ে। অপরজন ভোলানাথ রায় (১২) চিরিরবন্দর উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সাঁইতাড়া গ্রামের ভ‚পতি নাথ রায়ের ছেলে এবং সে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।
গতকাল বুধবার খানসামা উপজেলার আত্রাই নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ভারপ্রাপ্ত সায়েম জানান, নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে বুধবার দুপুরে খানসামা ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পার্শ্বে আত্রাই নদীতে তিন মামাতো ভাই-বোন মিলে গোসল করতে নামে জিতু। এক পর্যায়ে নদীর গভীরে তলিয়ে যায় জিতু। পরে তাদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসেও উদ্ধার করতে না পারলে খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিজানায়, স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সিঙ্গানগর গ্রামের চৌরঙ্গীবাজারের পশ্চিমপাশে নানা সাবেক ইউপি সদস্য গনপতি রায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে নাতী ভোলানাথ রায় (১২)। গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকার কানারঘাটে ভোলানাথ রায় অন্যান্যদের সাথে আত্রাই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়ে যায়। খবর পেয়ে চিরিরবন্দর ফায়ার সার্ভিস ও রংপুর থেকে আসা ডুবুরীদল ৬ ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারেনি ভোলার মরদেহ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করেন ডুবুরীদল। পরে গতকাল বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে কানারঘাটে নিখোঁজ হওয়া ভোলানাথ রায়ের মরদেহ ২কিলোমিটার দক্ষিণে ফিরিঙ্গিরঘাটে ভাসতে দেখে খবর দেয় নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া একদল জেলে। খবর পেয়ে সেখান থেকে ভোলানাথ রায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চিরিরবন্দর থানার ওসি মো. বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।