দু’দিনের ব্যবধানে আবারও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে শুক্রবার দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন বাজারেও খুচরা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৭০-২৮০টাকা টাকা। তবে দীর্ঘ আট মাস কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধের পর আবারও গতকাল শনিবার থেকে আমদানিকৃত কাচাঁ মরিচ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসতে শুরু করেছে। শনিবার দুপটুরে ভারত থেকে ৬টি ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন কাচা মরিচ আমদানি হয়েছে। আমদানি হওয়ার খবরে খুচরা ব্যবসায়ী ছাড়াও ক্রেতারা আশা করছেন এবার দাম কিছুটা হলেও কমবে।
বাজারে সরবরাহ কম এবং কয়েকদিনের গরম ও এখনকার বৃষ্টিতে দেশে কাঁচামরিচের আবাদ নষ্ট হয়েছে। যার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচের দাবি ব্যবসায়ীদের।অন্যদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের সাথে এই কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষ। তবে আমদানির খবরে স্বস্থি পেয়েছে ক্রেতারা।
দিনাজপুর শহরের হাউজিং মোড়ের কিনতে আসা কালাম আজাদ জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন রান্নায় কাঁচামরিচের প্রয়োজন হয়। যেভাবে কাঁচামরিচ এবং শুকনা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসারের খরচও বেড়ে গেছে।
কাঁচামরিচ বিক্রেতা আসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচামরিচের উৎপাদন নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। আমরা জয়পুরহাট, নওগাঁ থেকে কাঁচামরিচ ক্রয় করে থাকি। বর্তমানে সেখানেই দাম বেশি। ফলে বেশি দামে কিনে খুচরা বাজারে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আমদানি হলে দাম কমে যাবে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, শনিবার সকাল থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে দেশের কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত ১০ নভেম্বর থেকে কাঁচামরিচের আইপি ইস্যু বন্ধ করে রেখেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে কারণে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে আইপি দেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।