দিনাজপুর প্রতিনিধি \
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সবসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস, অনুপ্রেরণা ও শক্তি ছিলেন উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের কঠিন সংকট ও জটিল পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন সমস্যায় বঙ্গমাতা সময়পোযোগী পরামর্শ দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করেছেন। মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা যার নামের সাথে মিশে আছে বাঙালির আবেগ আর ভালোবাসা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস।
গতকাল সোমবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, আর্থিক অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এসব কথা বলেন।
আলোচনার পুর্বে বিটিভিতে সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব দিবস উপলক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান -২০২২ এর অনুষ্ঠান সম্মেলন কক্ষ হতে ভার্চুয়ালি দর্শন দেখানো হয়।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রধান জয়নুল আবেদীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আর মুঈদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোর্শেদ আলী খান, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম খালেকুজ্জামান রাজু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রায়হান কবীর সোহাগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুন বেগম লাবুন প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন চত্বরে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুব লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন।