খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাব ভবনের সভাকক্ষের দেয়াল ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এতে আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্ এর নির্দেশে প্রেসক্লাবের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলায় সংবাদকর্মীরা ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১৪ আগস্ট রবিবার সকালে আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্ ক্ষমতা দেখিয়ে প্রেসক্লাবের কোন সদস্যকে অবগত না করে তিনি লোকজন দিয়ে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের আবেগ ও ভালবাসার আশ্রয় কেন্দ্র প্রেসক্লাব ভবনের সুসজ্জিত সভাকক্ষের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে তাঁর ব্যক্তি স্বার্থে অবৈধ স্থাপনার কাজ করেন। এতে সাংবাদিকরা মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদ জানালে চেয়ারম্যান এর পরিবারের লোকজন, নেতাকর্মী ও কতিপয় ইউপি সদস্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরনবী ইসলাম বলেন, আমাকে গত শুক্রবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান প্রেসক্লাবের দেয়াল ঘেঁষে নতুন দেয়াল করার জন্য সভাকক্ষের টিন আরো উঁচু করার জন্য বলে। কিন্তু তিনি আমাদের কাউকে না জানিয়ে দেয়াল ও টাইলস ভেঙ্গে কক্ষের ভিতর দিয়ে নতুন দেয়াল তৈরি করে। যা অনাকাক্সিক্ষত।
প্রেসক্লাবের সভাপতি তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তিনি আমাদের দেয়াল ভাঙ্গেনি, ভেঙ্গেছে আমাদের হৃদয়। তিনি ক্ষমতার দাপোট দেখিয়ে আমাদের না জানিয়েই প্রেসক্লাবের সুসজ্জিত কক্ষ ভেঙ্গেছে। আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ও দিনাজপুর প্রেসক্লাবকে অবগত করেছি। তারা সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও দেয়াল মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।
আঙ্গারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্ বলেন, প্রেসক্লাবের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আমি কেয়ারটেকার জিয়াকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেই কাজ করতে বলেছি। কিন্তু তিনি আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। তবে কেয়ারটেকার জিয়া চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজ করছে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, ইতিমধ্যে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউপি চেয়ারম্যানকে ভাঙ্গা কক্ষের মেরামত ও তহশিলদারকে পরিষদের সীমানা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।