রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় পৃথক ৩টি অজ্ঞাত নামা মামলার ভয়ে কিছুদিন ধরে চলছিল ওসি পরিচয়ে চাঁদাবাজি। অভিযোগের মাস পেরিয়ে গেলেও উদঘাটন হয়নি আসল রহস্য, ক্ষোভ স্থানীয়দের।
২৭ জুলাই বাচোর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ভাংবাড়ী ফুটকিবাড়ী(ভিএফ) নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহতের ঘটনায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা খতিবুর রহমান সহ পুলিশের পৃথক ৩টি মামলা করায় গ্রেফতার আতংঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসি। এ সুযোগে ওসি পরিচয়ে কিছু লোকের কাছে মামলা থেকে রেহাই পেতে মোবাইলে চাঁদাবাজি করা হয়।
সংশ্লিষ্ঠ্য ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন কে মামলার ভয়দেখিয়ে ওসি পরিচয়ে গত ১ আগষ্ঠ হুমকি দিয়ে বলে যে, ব্যাটা মেম্বার হয়ে বসে আছিস মামলা থেকে বাঁচতে এক্ষুনি বিকাশে টাকা দে নতুবা তোকে ও তোর লোকজনকে অজ্ঞাত মামলার আসামি বানাবো। মামলা থেকে রেহাই পেতে বাবুল ২৬ হাজার টাকা দেয় বিকাশে। এমনি ভাবে খড়রা গ্রামের হাকিমের পুত্র রুহুল কেও ওসি পরিচয়ে ২০হাজার টাকা দাবী করে। আলমের কাছেও মামলার ভয়দেখিয়ে ০১৭৭৩৭১৮০৪১ নং মোবাইলে ফোন দিয়ে ০১৭৬৪৭৫৯১৩৫ নং বিকাশে ১০হাজার টাকা দাঁবি করে। এঘটনায় ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের মাস পার হলেও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
অভিযোগ কারি ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন মুঠেফোনে বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করেছি এরপর আর কিছু জানিনা। তবে পুলিশ ও আমাকে কিছু বলেনি।
এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনের একটি লিখিত অভিযোগটি জিডি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি মামলা না করায় ওসি পরিচয়ে প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে তারা নীলফামারি জেলার লোক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।