মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
মৎস্যজীবী লীগ নেতা সাকিল আহম্মেদ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত মৎস্যজীবী লীগের নেতা সাকিল আহম্মেদ (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোর ৫ টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের কে নিশ্চিত করেছেন সাকিল আহম্মেদের বড় ভাই যুবলীগের নেতা সাঈদ আলম। সাকিল আহম্মেদ ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের মৃত সামশুল আলমের ছেলে।
এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতেই ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ ২০ জনকে আসামি করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেছেন ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আলম। মামলার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান সহ সব আসামি পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। মামলার এজাহার ও বাদী সাঈদ আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) হলদিবাড়ী জামে মসিজের ইমাম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে অসম্মান করে কথা বললে প্রতিবাদ জানান, সাঈদ আলম ও মুসল্লিরা। এ সময় মসজিদের ইমামের লোকজন ও যুবলীগের নেতা সাঈদ আলমের লোকজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটলে ঐ দিন রাতেই ৪ জনকে আসামি করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেন তিনি। মামলা খবর জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান সহ তাঁর লোকজন ও মামলার অন্য আসামিরা ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে সাঈদ আলমের পথ রোধ করে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এরপর তাঁকে বাঁচাতে ভাই সাকিল আহম্মেদ সহ পরিবারের লোকজন ছুটে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে যুবলীগের নেতা সাঈদ আলম ও মৎস্যজীবী লীগের নেতা সাকিল আহম্মেদ গুরুতর আহত হোন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং আহতদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ
সাঈদ আলম বলেন, ‘সাকিল আহম্মেদের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ার কারণে চিকিৎসক তাঁকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। আমি গুরুতর আহত, মাথায় ৯টি সেলাই নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদের ২ ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল। একজনকে হত্যা করতে সে সফল হয়েছে।’ জনপ্রতিনিধির আড়ালে একজন খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। এদিকে রবিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ অন্য আসামিদের আটকের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগ ও স্থানীয়রা। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং– ৪ , পুলিশ সব আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ।