রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৩য় পর্যায়ে সরকারের আবাসন প্রকল্পের ৭৭৬টি ঘর ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত হলেও প্রসাশনের অবহেলার কারণে ঘর হস্তান্তর না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় পরিবারগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নে ময়ুরদীঘি পাড়ে ৭২টি ঘর নির্মিত হলে সে ঘরের বারান্দায় ১ মাসের শিশু সন্তান সহ পরিবার নিয়ে রাত্রীযাপন করছেন মহবুল হোসেনের পরিবার। সেখানে রয়েছেন ৬০ বছরেরও বৃদ্ধা মহিলা বাসমতি। সন্ধা হলেই রাত্রীযাপনের জন্য প্রতিটি বারান্দায় প্লাস্টিক মোড়ানো বেড়া তৈরির হিড়িক পরে প্রত্যেক পরিবারের। এমনি ভাবেই উপজেলার কালুগাঁও এলাকায় তৈরি হয়েছে ৬৯টি, রাণীদিঘী পাড়ে ৯টি, চামার দিঘী পাড়ে ৪৮টি,বিরাশীতে ১৫টি ঘর। ভূমিহীনরা অপেক্ষার প্রহর গুনছে কবে ঘরের তালা খুলে দিবে ইউএনও স্যার।
এব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম বলেন, শীত মৌসুমে শিশু, গর্ভবতী ও বৃদ্ধদের গরম কাপড়ের মধ্যে থাকতে হবে। শীত লাগলেই এদের ভাইরাল ফøু সহ সদ্বি,জ্বর,শ্বাসকষ্ঠ, নিউমনিয়া,ডায়রিয়া ও হাপানি রোগ দেখা দিতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, সাংবাদিকদের কাছে সংবাদ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক প্রসব হওয়া শিশু ও বয়স্ক পরিবারটিকে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্রমন্বয়ে বাকি ঘরগুািল বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আবাসন ঘর কেন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না এ প্রশ্নের জবাবে সহকারি কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহা মুঠোফোনে বলেন, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে এ সপ্তাহে প্রতিটি ঘরের তালা খুলে দেওয়া হবে।
ভ’মিহীনদের আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের ৩মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের ঘর না দেওয়া প্রসঙ্গে জেলা প্রসাশক মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক, দ্রæত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া আপনি কষ্ঠে দিনঅতিবাহিত করা দুঃস্থ ভ’মিহীনদের তালিকা আমাকে দেন।