মারুফ হোসেন, ঠাকুরগাঁও : শীতের মৌসুম শুরু হতে এখানো দেড় মাস বাকি। এরই মাঝে
জেলায় শুরু হয়েছে ঘন কুয়াশার খেলা ও শীতের প্রকোপ এবং হাসপাতালে বাড়ছে
শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের রোগীর সংখ্যাই বেশি। রোগীর
ভিড় সামাল দিতে সেবিকা ও চিকিৎসকদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ।
ঋতুচক্রে এখন চলছে হেমন্ত কাল। শীত কাল আসতে দেড় মাস বাকি থাকলেও
হেমন্তের শুরুতেই গুটি গুটি পায়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে গেছে শীত। ভোরে কুয়াশার
শিশির সিক্ত মাটিতে ঝড়া শিউলী ফুল আর ঘাসের ডগার শিশির বিন্দু ঝিকমিকি
করছে। অপরূপ হেমন্তের সকালে মিষ্টি রোদ পড়ছে গাছের সবুজ পাতার ওপরে।
ভোরের দিকে ঘনকুয়াশার কারণে রাস্তায় গাড়ি চলতে বিঘœ ঘটছে। তাই গাড়ির
চালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দিনের বেলা
মোটামুটি গরম থাকলেও বিকেলের পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করায় শীতের হিমেল
বাতাস শরীর শীতল হয়ে যাচ্ছে। শীতের আগমনের সাথে সাথে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর
সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর
সংখ্যাই বেশি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর ২৫০শয্যার হাসপাতালে শিশু রোগীর জন্য ৪৫টি
শয্যা নির্ধারণ থাকলেও এখানে গড়ে প্রতিদিন দেড়শ’ থেকে দুইশ’ রোগী ভর্তি
থাকছে। ফলে শয্যার অভাবে রোগী নিয়ে ঠান্ডা মেঝেতেই বিছানা পেতে চিকিৎসা
নিতে হচ্ছে। আর রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ প্রায় সকল ঔষধই বাহির থেকে ক্রয়
করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহিন হোসেন বলেন, শুধু নিজ জেলার
রোগী নয়, পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের অনেক রোগীর চিকিৎসা নিতে এই
হাসপাতালে আসায় তুলনামুলক অধিকাংশ দিনে রোগীর ভিড় সবসময় বেশি হয়। চিকিৎসা
দিতে সেবিকা ও চিকিৎসকগণ রিতিমত হিমশিম খেলেও যথাযথ সেবা ও ঔষধ দেওয়ার
চেষ্টা করা হচ্ছে।