মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে তহিদুর রহমান বাংরু নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা।
শুক্রবার দিবাগত সন্ধ্যায় দিনাজপুর সদর উপজেলার শশরা ইউপির সাহেবগঞ্জ হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে কোতয়ালী থানায় নিহত তহিদুর রহমানের মামাতো ভাই শাহিনুর ৫জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহত তহিদুর রহমান বাংরু(৩০) দিনাজপুর সদর উপজেলার শশরা ইউপির কাউগাঁও সাহেবগঞ্জ হাটখোলা গ্রামের মৃত মেহেরাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাক্টর চালক ছিলেন।
পুলিশ নিহত যুবকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, দিনাজপুর সদরের শশরা ইউপির সাহেবগঞ্জ হাট এলাকায় মাছ ধরার রিং জাল ও কারেন্টের জাল চুরির অভিযোগে তহিদুর রহমান বাংরুকে আটক করে কয়েকজন যুবক। শুক্রবার দুপুর ১১টায় দুবৃত্তরা বাংরুকে ধরে কাউগাঁও হাটখোলা রেললাইনের পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেধেঁ লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে বিকেল ৪টায় তহিদুরের তার বাড়ীতে ফেলে রেখে চলে যায়। তহিদুরের অন্ধ মা কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে চুপচাপ ছিলেন। রাতে তহিদুরের কোন সাড়া শব্ধ না পেয়ে অন্ধ মা চিকিৎকার শুরু করেন। এসময় প্রতিবেশীরা মায়ের চিৎকারে বাড়ীতে এসে তহিদুরকে মৃত দেখতে পান। পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ঘঁনাস্থলে এসে মৃতের সুরুতহাল রিপোট করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত তহিদুলের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধীদেরকে দ্রæত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, নিহত তহিদুর রহমান বাংরু ট্রাক্টর চালক ছিলেন। দুই মেয়ে নিয়ে অন্ধ মাকে নিয়ে তার সংসার। বেশ কিছুদিন আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।