বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরলে শতবর্ষ বয়সী ভিক্ষুক আকবর আলী অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের দাবী করে সংশ্লিষ্ঠ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। শতবর্ষ বয়সী ভিক্ষুক আকবর আলীর বাড়ী উপজেলার ১নং আজিমপুর ইউপি’র রাজুরিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃতঃ সাহার উদ্দীনের ছেলে। স্ত্রী আসমা খাতুন (৮৫) কে নিয়ে তিনি অন্যের জায়গায় আশ্রিত হয়ে বসবাস করছেন। সংসারে একমাত্র উপার্জন কারী এই ভিক্ষুক জানান, সম্পদ বা জায়গা জমি বলতে তার কিছুই নেই। ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন রকমে তার সংসার চলে। অসুস্থতার কারনে কোন দিন ভিক্ষাবৃত্তি করতে যেতে না পারলে সেদিন তাকে স্ত্রীসহ প্রায় উপস করে থাকতে হয়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে তাই তাকে এই বৃদ্ধ বয়সেও ভিক্ষাবৃত্তি করতে হচ্ছে। তিনি জানান, সংসার জীবনে তিনি এক এক করে ৩ ছেলে সন্তানের বাবা হোন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ৩ ছেলেই অকালে মৃত্যু বরণ করে। বড় ছেলে রিয়াজুল ইসলাম ১৫ বছর বয়সে মারা যায়। মেঝো ছেলে আব্দুল আজিজ মারা যায় ৮ বছর বয়সে এবং নাম বলতে না পারা আর এক ছোট ছেলে সেও জন্মের ৩ মাস পরে মারা যায়। এখন বংশের প্রদীব বলতে আছিয়া খাতুন নামে এক মেয়ে আছে। বিয়ে দেয়ার কারণে সে রংপুরে স্বামী সন্তান নিয়ে ঘর সংসার করছে। এই বৃদ্ধ বয়সে তাকে এবং তার স্ত্রীকে দেখভাল করারমত আর কেউ নেই। সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পান কি না? এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বয়স্কভাতা পাই। কিন্তু তা দিয়ে তো সংসার চলেনা। এছাড়া বাধ্যর্কের কারণে আমার ও আমার স্ত্রীর শরীরে নানা অসুখ বাসা বেধেছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। আমার বয়স প্রায় ১০০ বছর। লাঠি ছাড়া ঠিকমত হাটা চলা করতে পারিনা। এমন নিদারুণ অনেক কষ্টের কথা জানান তিনি। তিনি ভিক্ষুক পুনর্বাসনের দাবী করে সংশ্লিষ্ঠ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।