দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র ও দিনাজপুর মিউন্সিসিপ্যাল হাই স্কুল (বাংলা স্কুল) এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক এই তিন জনের সমন্বয় হলেই শিক্ষার গুনগমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।
১৪ ডিসেম্বর বুধবার দিনাজপুর মিউন্সিপ্যাল হাই স্কুল (বাংলা স্কুল) এর আয়োজনে ২০২৩ সালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করণ, শিক্ষার মান উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দিনাজপুর মিউন্সিপ্যাল হাই স্কুল (বাংলা স্কুল) এর প্রধান শিক্ষক মোঃ নেজামুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিরাজুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ খায়রুল আলম, অভিভাবক সদস্য মোঃ ওয়াহেদুর রহমান, প্রশান্ত কুমার রায় চৌধুরী।
প্রধান শিক্ষক মোঃ নেজামুল ইসলাম বেলন, আমরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা, শৃঙ্খলা এবং সত্য কথা বলার শিক্ষা দিয়ে আসছি। আমরা বিশ^াস করি শুধু শিক্ষত হলে হবে না তাদের মাঝে নৈতিকতার শিক্ষা তৈরী করতে হবে। তিনি অভিবাবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অভিভাবকদের উচিত প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ডাইরী বাই চেক করা। আমরা ইতিমধ্যে অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের জন্য লাল চিঠি প্রদান শুরু করছি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হোম ভিজিট শুরু করেছি। অভিভাবকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়টি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হলে ভালো হয়।
মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধিকল্পে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি এবং হাফ ফ্রি বেতন সহ শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে। মনে রাখবেন শিক্ষকদের প্রথম স্কুল হলো নিজের বাড়ী এবং প্রথম শিক্ষক হলেন তাদের মা-বাবা। সে কারণে শুধু শিক্ষকদের উপর ছেড়ে দিলে হবে না তাদেরও যথেষ্ট কর্তব্য রয়েছে। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক শাহ্ আলম।