একজোড়া সুস্থ চোখ সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে একজন মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত। যার মাধ্যমে এই সুন্দর পৃথিবীটা অবলোকন করে যাচ্ছে মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই দৃষ্টিজনিত বিভিন্ন সমস্যাই অতি পরিচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা। আর এই অতি প্রয়োজনীয় চক্ষু পরীক্ষাকে মানুষের দৌড়গোড়ায় নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের একমাত্র স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী। আর তারই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং বিভিন্ন মিশনারি স্কুলে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা আয়োজন করে যাচ্ছে সন্ধানী এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ইউনিট। গত এক সপ্তাহে কাশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নভারা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং সহ ৫ টিরও অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। উক্ত চক্ষু পরীক্ষায় ভিজুয়াল একুইটি টেস্ট, কালার বøাইন্ড টেস্টসহ চক্ষু সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়।
সন্ধানীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয় নভারা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মালতী মেরী কস্তা সিআইসি বলেন “প্রত্যেকটা মানুষেরই নিয়মিত বিরতিতে চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন আর শিক্ষার্থীদের সে কাজটা অনেক সহজ করে দিচ্ছে সন্ধানী এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ইউনিট। আমি ভবিষ্যতেও আমার বিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের চক্ষু পরীক্ষার জন্য সন্ধানী কে অবশ্যই আমন্ত্রণ জানাবো।” শুধুমাত্র বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষাই নয় স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, রক্তদান, ফ্রি বøাড গ্রুপিং, দরিদ্র রোগীদের মাঝে ঔষধ বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে সন্ধানী। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি শনাক্তকরণ ও তার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে সন্ধানী এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ইউনিট। অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগে ইউনিটের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে একটি ওয়েবসাইট িি.িংধহফযধহরসধৎসপঁ.পড়স উদ্বোধন করা হয়। যা সন্ধানী’র কাজকে আরো গতিশীল, সময়োপযোগী করবে বলে সবাই আশাবাদী।