দিনের অর্ধেক সময় কুয়াশায় ঢাকা ছিল পঞ্চগড়

পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ শুক্রবার দিনের অর্ধেক সময় পর্যন্ত পঞ্চগড় ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। দুপুর পর্যন্ত সুর্যের দেখা না মেলায় তীব্র ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। বাদ যায়নি গৃহপালিত প্রাণীরাও। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের লোকজন। ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতে না পারায় আর্থিক দৈন্যতায় পড়েছে তারা। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশায় ঢাকা পড়তে শুরু করে পঞ্চগড়। ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত ভারী কুয়াশা বৃষ্টির মত ঝরতে থাকে। শুক্রবার বেলা ১১টার পর সূর্যের মূখ দেখা গেলেও রোদের দেখা মেলেনি। আকাশে মেঘ ও কুয়াশা কেটে রোদের দেখা মেলে দুপুর ১২টার পর। রোদের দেখা মিললেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও উত্তরের কনকনে শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারণে দিনভর গরম কাপড় শরীরে চাপিয়েই চলাচল ও কাজকর্ম করতে হয়েছে মানুষদের। দিনের বেলাতেও খড়–কুটো জ্বেলে আগুন দিয়ে শরীর উষ্ণ করতে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলের অনেক বাড়িতে।
ধনীপাড়া এলাকার মোতাহার হোসেন বলেন, তীব্র শীতের কারণে চায়ের পাতা বিবর্ণ হওয়া রোধে বাড়তি স্প্রে করতে হচ্ছে। রেলস্টেশন এলাকার বাবুল ও ছায়দার আলী বলেন, দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়ে চলায় স্বাভাবিক কাজগুলো করতে সমস্যায় পড়ছেন। গৃহবধূ আন্জুমান আরা বলেন, আজকের ঠান্ডা শরীরের ভেতর হাড়গুলোকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। পরিবারের জন্য রান্না-বান্নার কাজ করতেও খুব সমস্যা হচ্ছে। ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামের দধি মোহাম্মদ বলেন, ভোর থেকে ঘনকুয়াশা আর হালকা শিশির থাকায় ঘর থেকে বাইরে বেরুতেই তার কষ্ট হচ্ছে। ইজিবাইক চালক আবুল কালাম জানান, ভোরে গাড়ী নিয়ে বের হয়েছি। ঘনকুয়াশার জন্য রাস্তা-ঘাট কিছুই দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীরাও বাড়ি থেকে বের হয় না। একই কারণে ভাড়া তেমন একটা না পাওয়ায় আয়ও কমে গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়ায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে বেড়ে শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা না থাকায় বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।