বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগড় বিদ্যুৎ কুমার কবিরাজ।
শিক্ষকেরা হচ্ছেন মোমবাতির মতো। নিজে জ্বলে, অন্যকে আলোকিত করেন। যিনি শিক্ষকতায় এসেছিলেন, এই মহান পেশাকে ভালোবেসে তিনি জানতেন এই পেশা সমাজের সর্বোচ্চ মর্যাদাপ্রাপ্ত।
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ, শুধু পাঠ্যবই নয় তার সাথে বাস্তবতার সম্মিলন ঘটিয়ে প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করাই হচ্ছে একজন আদর্শ শিক্ষকের কাজ। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পাশাপাশি তাদের সাথে এক অন্যরকম সখ্যতা ও বন্ধুত্ব নিজের জীবন ও পরিবারের চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধ অসীম শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরণা যোগানো বিভিন্ন কাজে উৎসাহ, সাহস যোগানোই ছিল তাঁর কাজ আর তিনি হলেন মানুষ গড়ার কারিগর দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমার কবিরাজ । যিনি সবার কাছে বিদ্যুৎ স্যার নামেই পরিচিত।
এই গুণী শিক্ষকের জন্ম নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কুন্দন গ্রামে। শিশুকাল থেকে বহু চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে আজ অবধি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করে বীরগঞ্জবাসীকে ধন্য করেছেন।গ্রামের সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক আলো বাতাসে বেড়ে উঠা বিদ্যুৎ কুমার জীবন যেন একজন সাদা মনের আলোকিত মানুষ।
লেখাপড়া শেষ করে তিনি দিনাজপুর জিলা স্কুলে (১৯৯১-২০০৮) সহকারী শিক্ষক, (২০০৮ – ২০১০) বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, (২০১০-২০১৩) দিনাজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, সর্বশেষে ২০১৩ হতে বর্তমানে তিনি বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
গত কয়েক বছরের তার পরিশ্রম সাধনা ও দক্ষ নেতৃত্বেই বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশের ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে। তিনি তার ছাত্রদের নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ফুলের বাগান, তৈরি সহ বিদ্যালয় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে খেলাধুলার জন্য তিনি ছাত্রদের কমন রুমে ক্যারামবোর্ড, টেবিল টেনিস, দাবা,সহ ব্যাট মিন্টন,ভলিবল, ফুটবল, ক্রিকেট ও খেলোয়াড়দের বসার ব্যবস্থা সহ খেলার যাবতীয় সরঞ্জাম ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্বে থাকা কালীন উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও নিজ উদ্যোগে ৩৫ বছর ধরে অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ২ একর জমি উদ্ধার করেন এবং বিদ্যালয়ের সামনে অবৈধ দোকান পাট, নার্সারি দখল মুক্ত করেন।
বিদ্যালয়ের উন্নতি সাধনে তিনি সততা নিষ্ঠার সাথে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করছেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যেমন- গম্ভীরা, পালাগান, নাটক, সহ অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শী।
বর্তমানে তিনি একজন আলোকিত শিক্ষক যার আলোয় অনেক শিক্ষার্থীর জীবন আলোকিত হয়ে দেশ ও বিদেশে কাজ করে যাচ্ছে।