শনিবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫ লাখ টাকার মরদেহ সংরণের ফ্রিজার যেন কাজে আসছে না

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ ৫:০৯ অপরাহ্ণ

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
অজ্ঞাত মরদেহ সংরণ, আত্মহত্যাসহ মামলা সংক্রান্ত সকল মৃতদেহের রণাবেণে জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল মর্গে একটি আধুনিক ফ্রিজার সরবরাহ করে ঢাকার কেন্দ্রীয় ঔষধাগার।

কিন্তু মর্গের পুরাতন ভবনের ক জটিলতায় ফ্রিজারটি গত ৪ মাসেও স্থাপন করা যায়নি সেখানে। ফলে ২৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রিজারটি কোন কাজে আসছেনা মরদেহ সংরনের। বন্ধ অবস্থায় এটির ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের মেঝেতে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালের মর্গে লাশ সংরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হতো। হাসপাতালটির ৪৪ বছরের সমস্যা লাঘবের ল্যাব গেলো বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মরদেহ সংরনের জন্য ৪-ড্রয়ার বিশিষ্ট একটি আধুনিক মরদেহ সংরনের ফ্রিজিয়ান সরবরাহ করা হয়।

ফ্রিজারটি বুঝে পেলেও এটি মর্গে স্থাপন করতে পারছেনা হাসপাতাল কর্তৃপ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মর্গটির সংস্কার না হওয়ায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে এর ভবন ও কগুলো। হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রাকিবুল আলম বলেন, মর্গটি অনেক পুরাতন ও করে দরজাটি সঙ্কুচিত হওয়ায় ৭ফিট চওড়া ফ্রিজটি স্থাপন সম্ভব হচ্ছেনা।

মর্গের ভবন পুরাতন ও জরাজীর্ণ থাকায় নতুন বিল্ডিং নির্মানের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মানের পর এটি স্থাপন করা সম্ভব হবে। তবে দীর্ঘদিন ফ্রিজারটি এভাবে পড়ে থাকলে এর যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিকল হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শহরের আর্টগ্যালারি এলাকায় মর্গটিতে গিয়ে দেখা যায়, ময়না তদেন্তর জন্য ভবনের সামনে ভ্যানে রাখা হয়েছে একটি মরদেহ। তার একদিন আগে মৃত্যু বরণ করেন ওই ব্যক্তি।

মৃত ব্যক্তির ছেলে কলিন চন্দ্র রায় জানান, একদিন আগে বিকেলে তার বাবা বিষপানে আতহত্যা করেন। মরদেহটি ময়নাতন্তের জন্য পুলিশ মর্গে পাঠালেও এখানে মরদেহ সংরনের কোন ব্যবস্থা নাই। ফলে দুদিন ধরে ভ্যানে রাখা হয় তাঁর বাবার লাশ।

সুদেব চন্দ্র রায় নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার ৫টি উপজেলার একটি মাত্র মর্গ এটির বেহাল দশা, জায়গাও সংকুলান। এখানে মরদেহ সংরনের ব্যবস্থা থাকলে মৃতদেহ পচন ধরার আশঙ্কা থাকে না। পরে ধর্মীয়ভাবে লাশটির কবর বা সৎকার সময় মত করা যেতো।

মর্গের কর্মরত ডোম সুকুমার মহন্ত বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় কামার থেকে বানিয়ে হাতুড়ি, বাটাল ও করাত দিয়ে মরদেহগুলোর কাটাছেঁড়া করা হয়। জরাজীর্ণ ছোট কে ময়নাতদন্তের কাজগুলো করছি ৩৭বছর ধরে। লাশকাটা ঘরের পেছনের দিকে রয়েছে নদী সেখান থেকে পানি এনে পরিস্কার করতে হয় ময়লা ও রক্ত।

সব সরঞ্জামের সংকট রয়েছে দীর্ঘদিন। অন্যদিকে নিরাপত্তাপ্রহরীর পদেও কেউ নেই।

বেশ কয়েকবার রাতে দুর্বৃত্তরা নতুন যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী নারী ডোম থাকার কথা থাকলেও এখানে তা নেই।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, মর্গটি আধুনিকায়নের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠি দিয়েছি। মর্গের নিরাপত্তা ও লোকবলের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ভবন পেলে ফ্রিজারটি স্থাপন করা হবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ইব্রাহীম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতন মাউশি কতৃক ” এ” ক্যাটাগরীতে উন্নীত

বোচাগঞ্জে লাল সবুজে নতুন করে স্বপ্ন বুনবে ৪৩০টি ভুমিহীন পরিবার

বীরগঞ্জে জামায়াতের নেতার জানাজায় অসংখ্য মানুষের ঢল

বীরগঞ্জে শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে তিন পদে নিয়োগ এক পদ স্থগিত

পীরগঞ্জে পেট্রোল পাম্পে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ ক্যাম্পিং 

ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে স্বারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মন্ডপে আনসার বাছাই কার্যক্রম চুড়ান্ত !

বীরগঞ্জে অসহায় এক বৃদ্ধ ভিক্ষুককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন আলোর পথে সংগঠন

বিএনএফ’র সহায়তায় নিজেদের ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন পঞ্চগড়ের হত দরিদ্র নারীরা

স্যার পরেশ চন্দ্র দাস আর নেই

রাজদেবোত্তর এস্টেটের পক্ষে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান