মোঃ মহিরুল ইসলাম মারুফ আটোয়ারী প্রতিনিধি ( পঞ্চগড় ) আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ এলাকা থেকে অপহরণের ৫ দিন পর ফাহিদ হাসান সিফাত (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে অপহরণকারী মতিউর রহমানের (২৪) স্বীকারোক্তি মোতাবেক র্যাব মাটির নিচ থেকে কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সিফাত ছোটদাপ এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং দিনাজপুর আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
সিফাতের পরিবার জানান, গত ৪ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৮ টায় ব্যাটমিন্টন খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায় নি। এমনকি তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ ছিলো। এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি আটোয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওইদিন রাত ৯ টার দিকে সিফাতের নম্বর থেকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় সিফাতকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। আবার ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে ওই নম্বর থেকে ফোন আসে এবং সিফাতের কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। ঐদিন সিফাতের পরিবার বিকাশে আট হাজার টাকা দেয় অপহরণকারীদের।
সিফাতের পরিবার আরও জানান, তাও সিফাতের সন্ধান না পেয়ে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক বরাবর ছেলে উদ্ধারের আবেদন করেন সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম।
র্যাব-১৩ নীলফামারী ব্যাটলিয়নের কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস উদ্ধার পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ছোটদাপ এলাকার মখলেছে এর ছেলে মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওসমান গণির ছেলে লিমনকে (২২) গ্রেফতার সহ সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় শ্বাসরোধ করে সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সিফাতের বাবা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যেন আর কোনো বাবার বুক খালি না হয়।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দীন বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।