উপমহাদেশের প্রখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় বাংলার কিংবদন্তির মহানায়ক ফুটবল যাদুকর সামাদের ২ ফেব্রæয়ারী ৫৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।
তার মৃত্যু দিবসটি একসময় বিভিন্ন সংগঠনসহ ব্যাপকভাবে পালন করতো। অজোপাড়া গায়ে অবস্থান হওয়ায় এখন কিংবদন্তির এই ফুটবল যাদুকরকে সবাই ভুলতে বসেছে। তার শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও আজ বিলিনের পথে। আজও তার সেভাবে মুল্যায়ন হয়নি এমনটাই মনে করেন ফুটবলপ্রেমীরা।
১৯৬৪ সালের এই দিনে তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর শহরের রেলওয়ে সাহেব পাড়ায় শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবরস্থানে তিনি চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।
১৯১৫সাল থেকে ১৯৩৮ সাল এই ২৩ বছর ছিল সামাদের খেলোয়াড় জীবন। তিনি ছিলেন একজন রেল কর্মচারী। সামাদের খেলোয়াড়ী জীবনে এমন সব বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে যা খেলার জগতে উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
রেলওয়ের কোন প্ল¬াটফরম ইন্সপেক্টর পদ নেই তবুও যাদুকর সামাদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন এবং রেলওয়ে পার্বতীপুর জংশনে প্ল¬াটফরম ইন্সপেক্টর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি রেলওয়ে সাহেব পাড়া কলোনীতে টিÑ১৪৭ নম্বর বাড়ীতে থাকতেন এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্য়ন্ত তিনি এ বাড়ীতেই ছিলেন।
এক সময় রেলওয়ে সামাদ মিলনায়তনে তার মৃত্যু বার্ষিকী ব্যাপকভাবে পালিত হতো। তবে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন দিবসটি পালন উপলক্ষে কর্মসূচী গ্রহন করে। কর্মসূচীর মধ্যে সামাদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য, মিলাদ মাহফিল ও তার জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ভারত বর্ষের বিহার এলাকার পুর্নিয়ায় ফুটবল যাদুকর সামাদের জন্ম হয়।তার পুরো নাম সৈয়দ আব্দুস সামাদ। শোনা যায়, ফুটবল যাদুকর সামাদ এর সোনার মুর্তি বিট্রিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে। পার্বতীপুরে রেলওয়ের নির্মিত একটি মিলানায়তন আছে। যা ফুটবল যাদুকর সামাদের নামে রাখা হয়েছে, সামাদ মিলানায়তন। যদি আমরা নিম্ন শ্রেনীর পাঠ্যপুস্তুকে সামাদের ছবিসহ জীবনী তুলে ধরা হলে হয়তো ভবিষ্যতে ফুটবল যাদুকর সামাদ এর নাম চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবর স্থানে সমাহিত করার দীর্ঘ ২৫বছর অবহেলিত অরক্ষিত থাকার পর ১৯৮৯ সালে ৫২ হাজার টাকা খরচ করে নির্মান করা হয় স্মৃতি সৌধ।