বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৪নং তারগাঁও ইউনিয়নের উতরাইন বড় বামনদেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শিক্ষককে লাঞ্ছিত, শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানী ও প্রধান শিক্ষককে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। এসময় তারা অবিলম্বে দোষীদের বিচার দাবী করেন।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) দুপুর ১ টায় ইউনিয়নে চৌরাস্তা নামক সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মঞ্জুর আলম বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিয়নের প্রভাবশালী ইয়াকিন আলী, রানা ও মামুন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্কুলে আসেন এবং বাধ্যতামূলক তাদের ভর্তি করার কথা বলেন। ভর্তি না নিলে মেরে শেষ করে দিব, মামলা করে দিব এমন হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া ইয়াকিন আলী প্রায় স্কুলে আসেন এবং শিক্ষকগনের ওপর প্রভাব খাটান। আমাকে জীবন নাশের হুমকী প্রদান করেন। বর্তমানে এই ইয়াকিন আলী গংদের ভয়ে আমি আতঙ্কে থাকি। এমন পরিস্থিতিতে আমি, শিক্ষকগণ ও স্কুলকে বাঁচাতে আইনের কাছে নিরাপত্তা ও বিচার চাই। সেই সাথে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে এবং শিক্ষার মান ভাল রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এলাকাবাসীর পক্ষে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নিশিত চন্দ্র রায় বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নিশ্চই জামায়াত শিবিরে ক্যাডার। তা না হলে একটি স্কুলে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলতে পারে- তোকে খুন করে হলেও এই স্কুলের সভাপতি হবো। এটা কি মগের মুল্লক। চাইলেই সভাপতি হওয়া যায়। আমি এদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি।
সহকারি শিক্ষক রনজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র রায়, খর্গ মোহন রায়, শিক্ষিকা মোছা. মমতাজ বেগম, মোছা. আনছুরা বেগম বলেন, ইয়াকিন আলী গং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। যখন ক্লাশ শুরু হয়, তখন ক্লাশে গিয়ে মারবো কাটবো হুমকি প্রদান করেন। স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে নির্যাতন করেছে। এভাবে চলতে থাকলে কোন স্কুল সুষ্ঠু ভাবে চলতে পারে না। আমরা বিদ্যালয় পরিচালনা করবো না এই সন্ত্রাসীদের হামলা সামলাবো। বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় সংসদ সদস্যে দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
অভিভাবক কমল চন্দ্র রায় বলেন, এই স্কুলে আমরা কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চাই না। আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন নির্ভায়ে স্কুলে যেতে পারে সেই সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ কামনা করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াকিন আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে তারা যা কিছু বলেছে সব বানোয়াট এবং মিথ্যা। সামনে স্কুলে অভিভাবক নির্বাচন করা জন্য প্রধান শিক্ষক কিছু জাল ভর্তি করেছে। সেটি আমরা দেখার জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে হেয় প্রতিপন্য করার জন্য তারা চক্রান্ত করছে।