শুক্রবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: পাতাঝরার গান আর কোকিলের কুহুতান। শুরু হয়েছিল আরও কিছুদিন আগে। এবার সরে গেল শীতের চাদরখানি। চারিদিকে আলো ছড়াচ্ছে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। বাতাসে ভাসছে আনন্দ -আভা। এমন দিনে ভালোবাসার ডাক শুনে জেগে উঠেছে মনপ্রাণ। প্রকৃতি একাকার হবে জাগরণে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঋতুরাজ বসন্তের শুরুলগ্নেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটছে শিমুল ও পলাশ ফুল। নানা ছন্দে কবি সাহিত্যিকদের লেখার খোরাক যোগায় রক্ত লাল এই শিমুল ফুল। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান সড়কের হাটখোলা, বলাকা মোড়স্থ বিষ্ণু মন্দির ও মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান প্রাঙ্গণে দেখা মিললো কয়েকটি ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল পলাশ – শিমুল গাছ। অন্যদিকে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর হরহামেশাই চোখে পড়ে না রক্তলাল শিমুল গাছ। উপজেলার শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর, সুজালপুর, নিজপাড়া, মোহাম্মদপুর,ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর ও মরিচা ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামঞ্চলে গুটি কয়েক শিমূল গাছে ফুল দেখা গেলেও বর্তমানে কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে তা।

গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আম কাঁঠালসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।

গ্রামে শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।

কিন্তু নানা কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙে ফোটে তোলে, দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মন। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার তেরি হয়। গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে। তবে কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় বীরগঞ্জ উপজেলায় আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের। প্রতিনিয়ত বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। যার কারণে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি চিরচেনা শিমুল গাছ। বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার সেন বলেন,বসন্ত মানেই শিমুল ও পলাশ ফুল। এবারের বসন্তে ঘুরে আসতেই বীরগঞ্জ উপজেলায় শিমুল গাছগুলোতে আগুনরাঙা নতুন রূপে সেজেছে প্রকৃতি। সহৃদয়ের ব্যাকুলতা নিয়ে এসেছে বসন্ত। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, ‘ হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র – সঙ্গীতে যতো আছে, হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক। ‘ আগে শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত ছিলো । বর্তমানে শিমূল গাছ বিলুপ্তের পথে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বীরগঞ্জে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী’র নির্বাচনীয় পথসভা

৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে হাজারো মানুষের ঢল ঃ দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন প্রয়াত জননেতা এম. আব্দুর রহিমকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ সর্বস্তরের জনতার

বীরগঞ্জে নৌকার বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যানদের সংবর্ধণা

বীরগঞ্জে এক মাদক সেবীর ছয় মাসের কারাদণ্ড

তেঁতুলিয়ায় সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবির মতবিনিময় সভা

নির্বাচনীয় এলাকা দশমাইল মোড়ে এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও আলোচনা সভা

রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা

দিনাজপুরের রাজবাটি সবজি বাগান আদর্শ গ্রামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ

বিরলে লিচুতে বিরুপ প্রভাব আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা

বোচাগঞ্জে গুডনেইবারস্ এর উদ্যোগে পিএসএম সভা অনুষ্ঠিত