মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার পৌরসভা শহরে ছোট থেকেই পাখির প্রতি খুব মায়া তার। খাঁচার পোষা পাখি লাভবার্ডের সঙ্গে তার যাত্রা শুরু চার বছর আগে। প্রথমে শখ থাকলেও এখন তা আয়ের উৎসে পরিণত। ‘পাখি তামিম’ নামে পরিচিত এই পাখিপ্রেমীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল পৌর শহরে। তার এই পাখির খামার দেখতে প্রতিদিন আসছেন পাখিপ্রেমীরা, কিনছেন পাখিও। বাড়ির কাছে আসতেই শোনা গেল পাখির কলরব। ছাদে গিয়ে আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা। নানা প্রজাতির অসংখ্য লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ফন্স, দেশি-বিদেশি কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি। আর এসব পাখির মধ্যে কেউ উড়াউড়ি করছে। কেউবা বানাচ্ছে বাসা। মনোরম সব দৃশ্য দেখতে অনেকে আসছেন তামিমের পাখির খামারে। প্রথমে শখ থাকলেও এখন তার পাখির খামার যেন একটি আয়ের উৎস। পাখির খামারের পাশাপাশি নিজস্ব পুকুরে মাছ চাষ করেন তামিম। জানা যায়, পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৪ সালে প্রথম দুটি বাজরিগার নিয়ে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখেন তামিম। পরবর্তীতে সেই পাখির বাচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করেন। ২০১৮ সালে বগুড়া থেকে ১৮ জোড়া পাখি কিনে নিয়ে এসে ছাদে তৈরি করেন একটি পাখির সেট। বর্তমানে তার খামারে ৫০ জোড়ার বেশি পাখি আছে। খামারটি করতে খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো। তার এই খামারে প্রতি মাসে খরচ হয় ৩ হাজার টাকা। পাখিপ্রেমী তামিম হোসেন বলেন, ছোট থেকেই পাখির প্রতি ভালোবাসা। সে ভালোবাসা থেকেই পাখির খামার করা। আমি প্রথম অল্প পরিসরে এই খামার করে থাকি। এক সময়ের শখ আজ আমার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আশা করি আগামীতে আরও বড় পরিসরে করব পাখির খামারটি।