সীমান্তের কাটাঁতারের বেড়া দুই বাংলার ভাষা প্রেমিদের বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। দুই বাংলার ভাষা-সংস্কৃতি এক,তাই প্রতিবছরের মতো এবারেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতেই দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শুন্য রেখায় এই আয়োজন। পরে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিনত হয়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত এবং ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট-মেঘালয় করিডোর কমিটি, রেইনবো সোসাইটি এই ভাষা দিবসের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় (মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ার) অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে দু’দেশের শিল্পীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কবিতা, নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও ভারতের বালুরঘাট রেইনবো সোসাইটি কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় ও সদস্য অন্যন্যা পাহান নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রতিবছর বড় পরিসরে হলেও এবার ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজক কমিটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা,আওয়ামীলীগ, পৌরসভা, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীরা।
এসময় ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক উত্তরে রোববার পত্রিকার প্রকাশক সুরজ দাস সাংবাদিকদের বলেন, অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলি শূন্যরেখায় দু’দেশের আয়োজনে এ মিলন মেলা।
রেইনবো কালচারাল একাডেমির কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় বলেন, খুব ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশ এসে ভাষা দিবস উদযাপন করবো। আজ আমি সার্থক।
হাকিমপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, সকালে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো পর ছোট পরিসরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।