বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: রমজানের বাকি এক মাস। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের দাম হু-হু করে ঊর্ধ্বগামী হয়ে উঠছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে। গত দু’ সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে বেড়েছে ইফতারের প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ সামগ্রী ও কাঁচামালের দাম। বীরগঞ্জ পৌরবাজার ও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি সাদা চিনি ১১০/১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতলজাত তেল ১৯০ এবং পাঁচ লিটার তেল ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর এক কেজি খোলা তেল ১৯০/১৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও মসুরের ডাল ১১০/১৪০, মুগ ডাল ১৪০, বুটের ডাল ৮৫/৯০ এবং ছোলা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা আটা ৬২/৬৩ এবং প্যাকেট আটা ৬৫/৭০ টাকায় এবং চাল ৫৪/৫৬, স্বর্ণা ৫০/৫২ এবং কাটারিভোগ চাল মানভেদে ৭০/৭২ বিক্রি হতে দেখা যায়। ব্রয়লার মুরগি ২৮০/৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দেশি মুরগী ৪৮০ টাকা,এছাড়াও ডিম প্রতি হালি ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কাঁচা তরতরকারি দামে বাড়ছে কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, পিয়াজ ৩৫ টাকা , রসুন ৬০ টাকা , আলু ২৫ টাকা,বেগুন ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা,পটোল ৮০/৯০ টাকা কেজি,কঁরলা ১২০/১৩০ টাকা, শিম ২০/২৫ টাকা, টমেটো ৩০/৩৫ টাকা, কাগজি লেবু ১৫ টাকা থেকে ১৮ টাকা, আদা ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, মুড়ি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, গরুর মাংস ৪০০ টাকা থেকে ৫০০টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা ও সচেতন মহল বললেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা না হওয়ায়, নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্য সামগ্রীর হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বীরগঞ্জ পৌরশহরের বলাকা মোড় এলাকার কাঁচা তরতরকারি বিক্রেতা মো.হাসান আলী জানান,বাজারে তরতরকারি আমদানি কম থাকায় বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে পুঁজি বেশি খাটাতে হচ্ছে। রিক্সাচালক সোহাগ বলেন,আমরা দিনমজুর মানুষের কষ্টের শেষ নেই। নিত্যপ্রয়োজীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বিগত দিনের সঙ্গে হিসাব মিলানো কঠিন হচ্ছে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৩০০/৪০০ টাকা আয় রোজকার হলেও তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।