ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নাট্য প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর নাট্য সমিতির উদ্যেগে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে
আলোচনা সভা ও “কবর” নাটক মঞ্চস্থ
দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নাট্য প্রতিষ্ঠান ও সৃজনশীল নাট্য সংগঠন দিনাজপুর নাট্য সমিতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও মহান একুশে ফেব্রæয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নাট্য সমিতির মঞ্চে ২২ ফেব্রæয়ারী বুধবার রাতে আলোচনা সভা ও প্রখ্যাত নাট্যকার মুনির চৌধুরীর “কবর” নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
একুশের আলোচনা সভায় দিনাজপুর নাট্য সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক চিত্ত ঘোষের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজু। একুশে ফেব্রæয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি আসাদুল্লাহ সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল খোকা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুর এর সভাপতি সুলতান কালাম উদ্দীন বাচ্চু। একুশের কবিতা পাঠ করেন দিনাজপুর নাট্য সমিতির সহ-অধ্যক্ষ তরিকুল আলম, মীর শীরিন, সারবিনা হাসান নুর ও সাংবাদিক কাশী কুমার দাস ঝন্টু।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার মুনির চৌধুরী রচিত ও সহ অধ্যক্ষ তরিকুল আলমের নির্দেশিত “কবর” নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকের অভিনয় করেন সম্বিত সাহা সেতু, টংক নাথ অধিকারী, জিয়াউল হক সিজার, রুবায়েত হোসেন রাব্বি, অমিত দাস ও চন্দন সরকার।
বক্তারা বলেন অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে একুশের চেতনাকে লালন করতে হবে আমাদের। আমাদের মতো সাংস্কৃতিক কর্মীদের দায়িত্বটা অনেক বেশী। ভাষা আন্দোলন বলেন, আর স্বাধীনতা সংগ্রামের কথাই বলেন না কেন সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। একটি জাতীর সাংস্কৃতিক বাহন হচ্ছে তার ভাষা। সারা বিশ্বের মানুষ জানে একমাত্র দেশ হলো বাংলাদেশ যা তার মায়ের ভাষার জন্য এতো মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। সর্বোত্র বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
নাটকটির শেষদিকে মুর্দা ফকির নিহত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘তোরা কোথায় গেলি? সব ঘুমিয়ে নাকি? উঠে আয়। তাড়াতাড়ি উঠে আয়। সব মিছিল করে উঠে আয়। গুলি, গুলি হবে। স্ফূর্তি করে উঠে আয় সব। মিছিল করে আয় এদিকে। আজ গুলি হবে, গুলি হবে আজ। কবর খালি করে সব উঠে আয়।’
মহান ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ২১ ফেব্রম্নয়ারির পর ২২ ফেব্রম্নয়ারি রক্তমাখা কাপড়ের নিশান উড়িয়ে চলা বিশাল এক শান্তিপূর্ণ মিছিলেও গুলি চালায় পুলিশ।