রবিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুচিকিৎসা পেলে বাঁচাতে পারে দিনাজপুরের পঙ্গু ইউনুস আলী’র জীবন

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ঘাগডা গাছি গ্রামে চিকিৎসার অভাবে নিদারুন কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় মোঃ ইউনুছ আলী । তার সু চিকিতসার জন্যে দেশের স্বহৃদয়বান বিত্তশালী দানবীর মানুষদের কাছে আর্থিক সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
বিরলের ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ঘাগডাগাছি গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুস আলী শারীরিক সুস্থতা নিয়ে ২০১২ সালে গাজীপুরের এক সোয়েটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন । একদিন বাড়িতে অবসর সময় কাটানোর সময় প্রতিবেশী অসুস্থ একজনের জন্য ডাব পাডতে নারিকেল গাছে উঠেন এবং ডাব পাডতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে যান। এসময় ইউনুসের মেরুদন্ডের হার ভেঙে যায় গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তখন প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে দেন কিন্তু অর্থের অভাবে সেখানে ভালো চিকিৎসা করতে না পেরে স্ত্রীসহ গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে চলে আসেন । গ্রামে এসেই পৈতৃক সুত্রে পাওযা ৪ শতাংশ বসতভিটা জমি বিক্রি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: লুৎফর রহমানের তত্ত¡াবধানে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা শুরু করেন । সেখানে ইউনুসকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হওযার ব্যাপারে চিকিৎসক লুৎফর রহমান তাকে দেশের বাহিরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন, এজন্য প্রয়োজন অনেক টাকা কিন্ত অর্থ সংকটের কারণে সেটা সম্ভব না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই বাড়ী বিক্রির টাকায় ডা: লুৎফর রহমান মেরুদন্ডের অপারেশন করেন। তবে এই অপারেশনেও তিনি সুস্থ্য হতে পারেননি,বরঞ্চ অপারেশনের ৩/৪ দিন পর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোস্কা পড়ে এবং পরবর্তীতে সেগুলো ঘা হয়ে যায়। তখন থেকে শুরু হয়ে যায় ইউনুসের দুর্বিসহ জীবন। এরমধ্যেই স্ত্রী মমতাজ বেগম তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে অসহ্য যন্ত্রণায় জর্জরিত ইউনুসকে নিয়ে বৃদ্ধ মা তাকে টেনে বেরোচ্ছিল, মাঝে কোহিনুর বেগম নামের একজন নারী স্ব ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করে দেখ ভালের দায়িত্ব নিয়েছেন । অসুস্থ ইউনুস অন্যের জমিতে বানানো ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন ও স্বপ্ন দেখছেন মহান আল্লাহ চাইলে অবশ্যই সে সুস্থ্য হবেন। ঘরের বিছানাই তার নিত্য সঙ্গী হয়েছে। দিন রাত বিছানায় শুয়ে থেকে থেকে ইউনুসের সাডা শরীরে হয়েছে ঘাঁ। স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধী ভাতা নসিব হয়েছে তার। প্রতি ৩ মাস পর পর ২২৫০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা পান তিনি, সামান্য এ টাকায় তাঁর সংসারে চলে না, চিকিৎসা করবেন কিভাবে। এত সমস্যার মাঝেও ইউনুস আলী শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠার জন্য দেশের সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিত্তবান দানশীল মানুষসহ সকলের কাছে চিকিতসার জন্য সাধ্যমত মানবিক সাহায্য কামনা করেছেন ।
এব্যাপারে ভান্ডারা ইউপির ৩ নং ওয়াডের মেম্বার মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, একসময়ের প্রানচঞ্চল্যে ভরা ইউনুস আলী আজ মেরুদন্ডের হাড ভেঙে অসহায় এবং শয্যাশায়ী। কোনো কাজ কর্ম করতে পারে না, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চিকিৎসা সহায়তা করার মতো কোনো ফান্ড নেই, তাই তাঁর জন্য তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি । তবে তাকে একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। শুনেছি সুচিকিৎসা পেলে হয়তো সে ৬০/৭০ ভাগ শারীরিকভাবে সক্ষম কিংবা ভালো হবে,এজন্যে তার বিপুল পরিমান টাকার প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে অর্থ সংকটের কারণে সে একেবারেই চিকিৎসা করতে পারছেনা। অসুস্থ ও অসহায় ইউনুস আলী তার চিকিৎসার জন্য দেশের বিত্তশালী দানবীর ব্যক্তিদের কাছে সাধ্যমত সাহায্য কামনা করেছেন। সবার কাছে সাহায্য চেয়ে তিনি তার এই বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৯১৭৪১৩৪/০১৩২৪১২১৯০০ দিয়েছেন, অথবা মোঃ ইউনুছ আলী, জনতা ব্যাংক সঞ্চযী হিসাব নাম্বার ০১০০২২৫৬২২৭৫৭, নাডাবাড়ি বিরল শাখা, দিনাজপুরে সাহায্য পাঠাতে অনুরোধ করেছেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও