চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আমার আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানটিও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পড়নের কাপড় ছাড়া বাড়ির গরু-ছাগলসহ জমানো ১৮ হাজার টাকা আগুনে পুড়িয়া ছাই হয়া গেইছে। এখন পেটের ভাত যোগাড় ও নতুন করে থাকার জায়গার ব্যবস্থা করব কী করে। কথাগুলো বলছিলেন-আগুনে ক্ষতির স্বীকার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি আরো বলেন, আগুনে পুড়ে আমার সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমরা বাড়ির সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় ৩টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামের ফকিরপাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। লেলিহান শিখায় সর্বস্ব পুড়ে তিনটি পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বাস করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে আগুন লাগার ফলে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারলেও ঘরে রক্ষিত জমানো টাকা-পয়সা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শাহ আলম বলেন, পাশের বাড়িতে আগুন লাগার কারণে ওদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের ঘরের টিনেও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সমিতি থেকে উত্তোলিত ৭০ হাজার টাকাসহ আমার সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে।
চিরিরবন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মাহবুব আলম জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে তিনটি বসতবাড়ির গরু ছাগল, হাঁস মুরগীসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। আগুনের প্রকৃত সুত্রপাত জানা যায়নি।
চিরিরবন্দর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ চিরিরবন্দর আইডিয়াল স্কুলের পরিচালক মমিনুল ইসলাম মমিন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে নগদ অর্থ ও পড়নের কাপড় কিনে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খালিদ হাসান জানান, ইতিমধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগদ অর্থসহ সরকারি সহায়তা দেয়া হবে।