মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খলিশাকুড়ি (কমলাপট্টি) গ্রামে সুমন ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আত্মহত্যার প্ররোচনায় রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ১৫ এপ্রিল শনিবার তার চাচাতো ভাই মো: মেহেদী হাসান রোকন (২২) বাদী হয়ে সুমনের স্ত্রী, শ্বশুড়-শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে ভুল্লি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে স্ত্রী রুপা ও শ্বাশুড়ি রোকেয়া খাতুন (৪৮) কে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় বালিয়া (আদর্শ সরকারপাড়া) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুমন ইসলামের পাশ্ববর্তী খলিশাকুড়ি (কমলাপট্টি) গ্রামের জামাল উদ্দীনের মেয়ে রুপা আক্তার (২২) এর সাথে এক বছর পূর্বে বিয়ে হয়। পরপরই অন্য ব্যক্তির সাথে রুপার প্রেম থাকায় সংসার করবে না বলে সুমনকে জানিয়ে দেয় সে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আপোস মিমাংসার মাধ্যমে রুপাকে সুমনদের বাসায় পাঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রুপা ও তার পরিবারের সদস্যরা সুমনকে তালাক দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জানায় ৩ লাখ টাকা দিলে সুমনকে তালাক দিবে রুপা। শ্বশুড় বাড়িতে রাত্রি যাপন করে সুমন। পরদিন সন্ধায় রুপা আমার অপর চাচাতো ভাই রনি ইসলামকে মুঠোফোনে জানায় যে, সুমন গলায় ফাঁস লাগিয়েছে, তাকে পাশ্ববর্তী বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুমনের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় সুমন মারা গেছেন। সুমনকে পরিকল্পিতভাবে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় আত্মহত্যার কান্ড ঘটনানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।