ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার খড়ি বাড়ি (বড়দেশ্বরী) গ্রামে দেশি জাতের ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নুর বানু । এক সময় অভাব অনটনে নিঃস্ব হয়ে পড়লে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেন ছাগল পালন। নুর বানুকে দেখে এলাকার বেকার যুবকরা ছাগল পালন করতে শুরু করেছে।
জানা যায়, ১৯৯২ সালের শেষ দিকে নিজের বাড়িতে ছাগল লালন-পালন শুরু করেন খড়ি বাড়ি ( বড়দেশ্বরী) গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেনের স্ত্রী নুর বানু । প্রথম দিকে ৫ টি ‘দেশি’ জাতের ছাগল কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। এর ১ বছর পর ৪টি ছাগল বিক্রি করে লাভ পেতে শুরু করেন। তারপর আরও কয়েক টি ছাগল কিনেন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি নুর বানুকে। ৩০ বছর ধরে চাগল পালন করে আসা এখন ছাগল রয়েছে ছোট বড় মিলে ৩৫ টি।
নুর বানু বলেন, নিজের উদ্যেগে ৫ টি ছাগলের বাচ্চা ক্রয় করে লালন-পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে দেশী জাতের প্রায় ৩৫ টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগল পরিচর্যায় জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ছাগলগুলো প্রতি বছর বাচ্চা দেয়। প্রতি দুই/তিন মাস অন্তর ১০ থেকে ১৫ টি ছাগল এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। নুর বানু বলেন এই ছাগল পালনে আমি এখন সাবলম্বী হয়েছি বাড়ী করেছি জমি-জমা কিনেছি এবং গত বছর আমার স্বামীকে পবিত্র হজ্বে পাঠিয়েছি। তিনি একটু ক্ষোভের সাথে বলেন, আমি এই এলাকায় একমাত্র আমি ছাগলের খামার করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সরকারি সহযোগিতার মুখ দেখিনি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হেমন্ত কুমার রায় বলেন, নুরবানু বেগম নিঃসন্দেহে একজন ভালো খামারী হিসেবে শুনেছি তবে আমরা শিগগিরই নুরবানুর ছাগলের খামার পরিদর্শন করব এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ সর্বদা সঠিক পরামর্শ দিবে।