মঙ্গলবার , ৯ জুলাই ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে বৃষ্টি হলেই কদর বৃদ্ধি বাড়ে ছাতার কারিগরদের

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুলাই ৯, ২০২৪ ১০:২৮ অপরাহ্ণ

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ছয় ঋতুর বাংলাদেশ। ঋতু পরিক্রমায় এখন বর্ষাকাল চলছে। এ বছর আষাঢ় মাসে তেমন একটা বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত না হলেও এখন কখনো থেমে থেমে, আবার কখনো একটানা মুষলধারে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এ সময়ে ঘরের বাইরে পা রাখতে প্রথমেই যা সঙ্গে নিতে হয় তা হচ্ছে ছাতা। সেই ছাতা যদি ব্যবহারের পর ফুটো কিংবা ভাঙা হয় তখনই যত বিপত্তি। আর এই বিপত্তির কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে ছুঁটে যেতে প্রয়োজন হয় ছাতা মেরামতকারী কারিগরদের নিকট। তাই বর্ষায় ভরসা এসব কারিগররা। বছরের অন্য সময়ে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষার এ মৌসুমে পুরো দস্তুর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। প্রতিদিন ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন একেকজন কারিগর।
জানা গেছে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আগে ছাতা মেরামতের কোনো কারিগর ছিল না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাতা মেরামত করতে এই এলাকায় আসতেন ছাতার কারিগররা। জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ দিকে এসে আশ্বিন মাসের শেষ দিকে তারা চলে যেতেন। বেশিরভাগ মাদারীপুর, চাঁদপুর, ফরিদপুর ও বিক্রমপুর থেকে আসত ছাতার কারিগররা। তারা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে ফুটো কিংবা ভাঙা ছাতা মেরামত করতেন। ছাতার কারিগরদের সারা বছর কদর না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের বেশ চাহিদা থাকে। বর্ষা এলেই কদর বৃদ্ধি পায় তাদের।
উপজেলার গ্রামীণ শহর রানীরবন্দরের দরগাহপাড় মসজিদ চত্বরে ছাতা মেরামতকারী নশরতপুর গ্রামের মো. নুরুজ্জামান জানান, বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কাজের চাপ একটু বেশি। বৃষ্টির সময় ছাড়া ছাতা মেরামতের কাজ থাকে না। এসময় তাদের আয় মোটামুটি ভালো হলেও অন্য সময় বেকার বসে থাকতে হয়। তিনি আরো জানান, যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন ছাতা মেরামতের কাজ হয়ে থাকে। বাকি দিনগুলোতে অন্য কাজ-কাম করে থাকি। ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের খরচসহ পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় আমার পরে আর কেউ আসবে না।
ছাতা মেরামতকারী উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামের আমিনুল মেম্বারপাড়া আব্দুর রহমান জানান, বর্তমানে ছাতা মেরামত করে আমার আয় সামান্য। ছাতার সিক লাগাই। কাপড় সেট করি। এছাড়া সাধারণ মানুষ ছাতা মেরামতের জন্য আমাদের নিকট আসেন। তাদের ছাতা মেরামত করে দৈনিক ২০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। এ টাকায় আমার সংসার চলে না। পিতৃ পুরুষের এ পেশা ছাড়তেও পারি না।
ছাতা মেরামতকারীদের দুরবস্থার কারণ হিসেবে জানা গেছে, বর্তমানে ১০০-২০০ টাকায় ছাতা পাওয়া যায়। দাম কম হওয়ায় ছাতা নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই আর মেরামত করেন না। তারা আবার নতুন ছাতা কিনে নেন। পূর্বে কাঠের হাতলওয়ালা ছাতার প্রচলন ছিল। গ্রামের লোকেরা কাঠের হাতলের ছাতা ব্যবহার করতো। সেই ছাতাও তৈরি হতো। কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। ছাতার বাজার চায়না ও ভারতের দখলে গেছে। তাই কাঠের ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত
পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে কাহারোলে শতধা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্দ্যোগে  স্বদেশ ও প্রবাসীদের ঈদ পূনর্মিলনী

পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে কাহারোলে শতধা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্দ্যোগে স্বদেশ ও প্রবাসীদের ঈদ পূনর্মিলনী

ট্রাম্প ‘নোংরা’ বলায় চটেছে ভারত

বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আদিবাসী মেলা অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরে ভূমি রেকর্ড সংক্রান্ত হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

বীরগঞ্জে রিক্সা ও ভ্যান চুরি ছিনতাই বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

বীরগঞ্জে ক্রেতা সেজে প্রতারণা, দুই নারী গ্রেপ্তার

হরিপুরে”জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস” পালিত

বীরগঞ্জে দিনব্যাপী কাব হলিডে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

বিশ^ জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

রাষ্ট্র সংস্কার ও সংস্কৃতি সংস্কারের দাবীতে দিনাজপুরে শিল্পী ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন