হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন অফিস এবং পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য “ ডি-নথি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আইকিউএসি কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার। সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তহিদার রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের সিনিয়র প্রোগ্রামার মোঃ ওয়ালিদ ইসলাম ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার মোঃ আতিকুর রহমান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে যে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার ম‚ল লক্ষ্য ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরস‚রি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই তিনি শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর অংশ হিসেবেই রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে কতটা স্বচ্ছ করা যায় সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এটির প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণম‚লক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের ৪ টি মৌলিক ভিত্তি হল স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি। এই ভিত্তিগুলো গঠনে আমাদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। নিজেকে স্মার্ট অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে আমরা ডি-নথির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আজকের প্রশিক্ষণ গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। এটি বাস্তবায়ন হলে যেকোন স্থান থেকেই ফাইলের কাজ করা যাবে, ফলে সার্বিকভাবে বিভিন্ন কর্মকান্ডে গতিশীলতা আসবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি কাজকে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করা করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়, তাই নিয়মিতভাবে আমরা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে যাচ্ছি। পরিশেষে এ ধরণের সভা আয়োজনের জন্য তিনি আইকিউএসি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।