তথ্য অধিকার বিষয়ক এ্যাডভোকেসী মিটিং এ স্বরূপ বকসী বাচ্চু
তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ সাংবিধানিক নাগরিক
দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের পজিটিভ সূচনা
“তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক, তথ্য চাওয়াটাও নাগরিকের” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বালুবাড়ী বহুমুখী মহিলা শিক্ষা কেন্দ্র (এমবিএসকে)’র মিলনায়তনে রিসার্চ ইনশিয়েটিভ্স বাংলাদেশ (রিইব) ঢাকার আয়োজনে এবং তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন, দিনাজপুর জেলা কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য অধিকার বিষয়ক এ্যাডভোকেসী মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন কমিটি দিনাজপুরের সভাপতি মোঃ সামিউল আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু। প্রধান আলোচ্যক হিসেবে আলোচনা করেন দিনাজপুর নাগরিক উদ্যোগ কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আক্তার, এসইউপিকে’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন। ধারণা পত্র পাঠ করেন আরটিআই দিনাজপুর এক্টিভিষ্ট গ্রæপ এর সেক্রেটারী নওশাদ হোসেন। তথ্য অধিকার আইন চর্চার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বক্তব্য রাখেন গ্রæপ সদস্য মকিদ হায়দার শিপন ও মোঃ আস্তারুল আলম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন আহসানুজ্জামান চঞ্চল, মারুফা বেগম, কাশী কুমার দাস, মামুনুর রহমান, মোর্শেদা পারভিন মলি, ইয়াকুব আলী, খায়েরুল আলম, মোসাদ্দেক ইসলাম মুকুল। প্রধান আলোচ্যক আবুল কালাম আজাদ বলেন এই প্রকল্পের মূল লক্ষ উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে সরকারী দপ্তরগুলোর সাথে নাগরিকদের সুসম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা নাগরিকদের অংশগ্রহন বৃদ্ধি করা। এছাড়া তথ্য অধিকার আইনের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের ব্যবহার জোরদার করা। প্রধান অতিথি দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে সাংবিধানিক নাগরিক দায়িত্ব পালনের মধ্যে রাষ্ট্রের পজিটিভ দিকের নব সূচনা হয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত রাষ্ট্রের মালিক জনগন এই মালিকানা চর্চা করার আইনগত বৈধতা পেয়েছেন এই আইনটির মাধ্যমে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিইব এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মতিউর রহমান। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন গ্রæপ সদস্য অনামিকা পান্ডে। মিটিং এ জানানো হয় দিনাজপুর গ্রæপ এ বছরে ১১৫৮টি তথ্য আবেদন, জবাব প্রার্থী ১০০৫টি আপিল আবেদন ২০৭টি ও অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৪৫টি।