শুক্রবার , ২ জুন ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুর জেলায় ধান উৎপাদনে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুন ২, ২০২৩ ৯:২০ অপরাহ্ণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি \
দিনাজপুর অঞ্চলের ফসলের মাঠে যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই কেবল সোনালি ধানের সমারোহ। রোদ আর বাতাসে ফসলের মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। ফসলের মাঠগুলোতে ধান হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা মাড়াই। ফসলের মাঠে কেউ ধান কাটছে, না হয় কাটা ধান নিয়ে যাচ্ছে। এমন ঠিত্র এখন ফসলের মাঠে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তাই জেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা করা হচ্ছে।

দিনাজপুরের অধিকাংশ লোক কৃষি নির্ভর। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায় বোরো ধান চাষে সাফল্য অর্জন করেছে। জেলায় দুই জাতের ধান উৎপন্ন হচ্ছে হাইব্রিড ও উফশী। উফশী জাতের মধ্যে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৫৮, মিনিকেট, সম্পা কাঠারী, বগুড়া সম্পা, জামাই কাঠারী, সোনামুখী, নানিয়া, কোটরা পারী ও বিয়ার-১৬। হাইব্রীড ধানের মধ্যে তেজ গোল্ড, হীরা-২, ব্রাক (রূপালী) ও এসএল ৮এইচ। এবার আবহাওয়া অনুকুল পরিবেশ থাকায় মাঠে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় কৃষকরা উৎসব মুখর পরিবেশে ধান কাটা-মাড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছু দিন আগে আগাম ধান কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৪১% ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে। বাজারেও ধানের দাম মোটামুটি ভাল। বাজারে এখন ধান বস্তা প্রতি ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। আর চিকন ধান বিক্রয় হচ্ছে বস্তা প্রতি ২৫০০-২৬০০ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার দিনাজপুর জেলায় ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ২৫ হাজার ৪৮০হেক্টর জমিতে আর উফশী ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী ধানের ক্ষেত্রে ৪.২১ মেট্রিক টন এবং হাইব্রীডের ক্ষেত্রে ৪.৫৯ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে। মোট ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৩ শত ৮৫ মেট্রিক টন উফশী ধানের ক্ষেত্রে আর হাইব্রীডের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৯ শত ৫৩ মেট্রিক টন।

শেখপুরা ইউনিয়নের কিষান বাজারে ধান বিক্রয় করতে আসা কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায়,ঝড়-বজ্রপাত কম, পোকামাকড়ের উপদ্রব কম ছিল তাই ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে ধানের দাম আশানুরুপ পাওয়া যাচ্ছে। গত হাটে মন প্রতি ৯৫০/-টাকা দরে ধান বিক্রয় করেছি।
কৃষক সনাতন বলেন, ফলন ভাল হয়েছে। এবার পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম। তাপ প্রবাহে শুকনা ধান বিক্রয় করছি বস্তা প্রতি ১৯০০/- টাকা থেকে ২০০০ টাকা দরে।

এই বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, এবার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে, তবে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কম। উৎপাদন ভাল হয়েছে। আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে, আবহাওয়া ভাল থাকলে বাকী ৫৯% ধান দ্রæত কৃষকরা কর্তন করবে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এই জেলায় খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। বর্তমানে কৃষকরা ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত আর ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরদের মুখে হাসি উঠেছে। জেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবার ছাড়িয়ে যাবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পীরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীর কারাদন্ড

হরিপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

পীরগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে পুনাক শিল্প ও পন্য মেলা উদ্বোধন

ঠাকুরগাঁওয়ে এনটিভির জন্মদিন পালন

পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

বোদায় ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

কাহারোলে ভূমি সেবা সপ্তাহ’র র‌্যালী ও আলোচনা সভা

হরিপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পথ-শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ

দিনাজপুর নাট্য সমিতির শিশু-কিশোর নাট্যৎসবে “বাড়িয়ে দাও হাত”-“টিক টিক” ও “জুতা আবিষ্কার” ৩টি শিশু নাটক মঞ্চস্থ হয়