দিনাজপুরে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতামুলক সেমিনার শুরু হয়েছে। ৪ জুন রোববার দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০০ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামুলক কার্যক্রম শুরু হয়। ডাক্তারদের সংগঠন “প্লাটফর্ম” এর উদ্যোগে, মেডিসিন ক্লাব এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ইউনিট এর সহযোগিতায় “সুচনায় পড়লে ধরা, ক্যান্সার রোগ যায় যে সারা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রমের শুভ সুচনা করা হয়।
সচেতনতামুলক সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোহিবুর রহমান নীরব। সচেতনতামুলক বক্তব্য রাখেন ক্যান্সার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সমীরন কুন্ডু, দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অধ্যাপক লায়লা হাসিনা বানু, দিনাজপুর পরমানু চিকিৎসা ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার ডাঃ খায়রুল আলম পিয়াল, ডাঃ আফরা চৌধুরীসহ মেডিসিন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক দররুল আনাম সিদ্দিকী, অপর্না সাহা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মাহফুজুর হকসহ আরও অনেকে।
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরন করা হয়। এই সচেতনতামুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দিনাজপুরে স্তন ক্যান্সার কমানো ও সচেতনতায় ভুমিকা রাখবে বলে বক্তারা আশা ব্যক্ত করেন। এ ছাড়াও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে নিজেকে সচেতন হতে হবে। সেমিনারে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠত হয়। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেয়া হয়্
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে সচেতনতামুলক সেমিনার কর্মসুচী পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরমানু চিকিৎসা ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার ডাঃ খায়রুল আলম পিয়াল।
উল্লেখ, স্তন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ ঃ স্তনে ব্যথমুক্ত চাকা, স্তন বোটার পরিবর্তন যেমন ভিতরে ঢুকে যাওয়া, স্তন বোটা থেকে ক্ষরণ, স্তনের আকার এবং আকৃতির পরিবর্তন, বগলে চাকা, স্তনের চামড়া লাল হয়ে যাওয়া ও ছোট ছোট গর্ত হওয়া (যেমন কমলা লেবুর আবরনে দেখা যায়) ও স্তুনে ঘা দেখা যাওয়া।
প্রতিরোধে করণীয় ঃ ৩০ বছরের আগেই বিয়ে ও প্রথম সন্তান ধারন করতে হবে, পরিমিত আহার ও হালকা ব্যায়াম এর মাধ্যমে শরীরকে হালকা পাতলা রাখতে হবে, তামাক-গুল ইত্যাদি পরিহার করতে হবে, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাদ্য, ফাস্ট ফুড কম খেতে হবে, পর্যাপ্ত ফলমুল এবং শাক-সবজি খেতে হবে, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে।