হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে ‘রিসার্চ ফান্ড অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবারসকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ তে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাজেট এবং আইআরটি’র তত্ত¡াবধানে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত প্রকল্পসম‚হের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক, সহযোগী প্রকল্প পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকিউরমেন্ট এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মাননীয় সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইআরটি’র পরিচালক প্রফেসর ড.এস.এম.হারুন-উর-রশীদ,সঞ্চালনা করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ।
এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই তিনি শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর অংশ হিসেবেই রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কতটা স্বচ্ছ করা যায় সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এটির প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণম‚লক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য আমরা নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আজকের এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে রিসার্চ ফান্ড দেয়া হয়, সেই রিসার্চ ফান্ডের ম্যানেজমেন্ট কতটা সুন্দরভাবে ও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারি এ বিষয়ে আমরা আজ ধারণা নিবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মাননীয় সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গবেষণাখাতে বরাদ্দ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছেন। এক্ষেত্রে সমাজের প্রয়োজনে, জাতির প্রয়োজনে সে গবেষণা অবশ্যই কাজে আসতে হবে। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট করতে হবে এবং মানসম্পন্ন গবেষণার মাধ্যমে এর গুণগত মানবৃদ্ধি করতে হবে। অন্য যেকোন খাতে অর্থের বরাদ্দ কমলেও গবেষণা খাতে তা কখনোই কমবে না, বরং দিন দিন এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে গবেষণা হতে হবে প্রোডাক্টিভ ও সমাজের জন্য ইউজফুল। তবেই সার্থকতা আসবে। বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ সৎ ব্যবহার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।