বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জমি জবর দখলের পায়তারায় চরম উত্তেজনার একপর্যায়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়ন সনকা গ্রামের জনৈক মো:আব্দুল্যাহেল বাকী, তার ছেলে মো:আশরাফুল হোসেন, মো:মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইংরেজি ১৯৯৯ সালে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে পাল্টাপুরের জে,এল ১৭৩, সনকা মৌজার বিভিন্ন দাগে ২.৮৭ একর,২.৭০ একর ও ১.২৮ একর জমি সার্টিফিকেট অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) কতৃক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে জমি ক্রয়ের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে মৃত প্রধান কিস্কুর ছেলে জাকব কিস্কুর নিকট হতে ১ একর সোয়া সাত শতাংশ জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছেন। সম্প্রতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন স্থানীয় কুচক্রী মহলের যোগসাজশে ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারী মোঃ আঃ মান্নানের সহযোগিতায় অবৈধভাবে হঠাৎ উল্লেখিত ক্রয়কৃত, ভোগদখলীয় নামজারীকৃত এবং নিয়মিতভাবে খাজনা পরিশোধিত জমিজমার বিভিন্ন দাগের মধ্যথেকে আংশিক .৮৫ শতাংশ জমির মালিকানায় প্রতিপক্ষ আদিবাসীদের নামজারীর পর থেকেই জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এরই একপর্যায়ে ১৫ জুলাই’২৩ দুপুরে জমিতে ধান রোপণ করার সময় সনকা এলাকার জাকপ কিসকু, মার্কুস কিসকু ও জহন কিসকু’র ওয়ারিশ যথাক্রমে মানু কিসকু, নির্মল কিসকু এবং মোশেস কিসকু’র পরিবারের নারী পুরুষেরা অবৈধ দেশীয় মরণঘাতী অস্ত্র তীর- ধনুক,দা- বল্লম,লাঠি- সোটায় সুসজ্জিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা ঘোড়াবান্দ গ্রামের আব্দুল্যাহেল বাকীর ছেলে আশরাফুল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান এবং জামাতা এনামুল সহ উল্লেখিত ভোগদখলীয় জমিতে ধানরোপন কাজে নিয়োজিতের বাধা প্রদান করে। এসময় সংঘর্ষে লিপ্ত হলে হত্যাকান্ড সহ বড়ধরনের দূর্ঘটনা আর সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় পুলিশের সাহায্য কামনা করা হয় এবং এসআই জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে বীরগঞ্জ থানার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ভুত উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, তাদের জমির পরিমান প্রায় ৯ একর।পাল্টাপুর ইউনিয়নের বর্তমান তহসিলদার মান্নান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আদিবাসীদের নামে বে-আইনিভাবে বিবাদমান ৮৫ শতাংশ জমির খারিজ করে দিয়েছে, যার নম্বর ২৪২১(1x-1) ২০২২-২৩ এবং উক্ত নামজারী বাতিলের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে পাল্টাপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মান্নান সাংবাদিকদের জানান,ইতিপূর্বে কর্তব্যরত পাল্টাপুর ইউনিয়নের তহশিলদারের দ্বায়িত্বে অবহেলার কারনে সংশোধন না করায় সনকা মৌজার বিভিন্নদাগের অংশ কেটে আদিবাসীদের নামে. ৮৫ শতাংশ জমির খারিজ দেয়া হয়েছে।
শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত সনকা মৌজার এই বিবাদমান জমি নিয়ে উভয়পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজমান ছিলো । এব্যাপারে উভয়পক্ষই সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চলমান ১৩৬/২০২৩ নং এবং ১৪৩/২০২৩ অন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা যায়। উল্লেখিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী আব্দুল্যাহেল বাকীর পরিবার।