মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলায় অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র গরমে এমন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে মানুষ।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিয়ে চালাতে হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ টি উপজেলায় ১৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ৪ থেকে ৬ মেগাওয়াট সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর গ্রামের রেজাউল করিম রাজা, হরিপুর উপজেলার রাজ্জাক, পীরগঞ্জ উপজেলার লিটন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাজু, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের ফুলবাবু, বলেন, ‘১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে ২ ঘণ্টা থাকে না। সমস্যাটা গত চারদিন ধরে বেশি হয়েছে। রাতেও ৪ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ চলে যায়।’ শহরের ফরিদা পারভীন বলেন, ‘চার দিন থাকি কারেন্টের সমস্যা চলেছে। দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আট ঘণ্টাও কারেন্ট থাকে না। গরমোত বড় মানষিলা আইতোত বিছিনা থাকি উঠি গাওত পানি ঢালেছি। তাহো ঘুমির পারেছি না।’
লাহিড়ী হাট এলাকার ব্যবসায়ী আইনুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে সব কিছু অচল হয়ে পড়ছে। দিনে রাতে ৮ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ আসলে এক ঘণ্টাও স্থায়ী হয় না। আইপিএস চার্জ হতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। এ অবস্থায় আইপিএসও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ নির্ভর অনেক ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আকাশত পানি নাই। মোটরের পানি দিয়া জমিত ধান লাগাছি। কিন্তু কারেন্ট ঠিক মতো থাকেছে না, মোটরও চালেবার পারেছি না।’ রানীশংকৈল
উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ এজিএম আশফাক খাইরুল বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ার কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও গ্রিড থেকে দিনে রাতে ১ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করছে। রাণীশংকৈল কার্যালয়ের আওতায় ১১টি ফিডারে ৬০ হাজার জন গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহকের জন্য প্রয়োজন ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে অর্ধেক এরও কম। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছি। সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বলছি, কিন্তু পাচ্ছি না। এ জন্য প্রতিটি ফিডারে দিন-রাতে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। প্রতিটি ফিডারে প্রতিবার এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে।