শনিবার , ৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরামপুরে জিপিএ-৫ পাওয়া যমজ তিন ভাইবোনকে সংবর্ধনা দিলেন রেলমন্ত্রীর সহধর্মিণী-মিসেস শাম্মি

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ৫, ২০২৩ ১০:২০ অপরাহ্ণ

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যমজ (ট্রিপলেট বেবি) তিন ভাই-বোনকে সংবর্ধনা দিলেন মাননীয় রেলমন্ত্রীর নূরুল ইসলাম সুজনের সহধর্মিণী মিসেস শাম্মি আক্তার মনি। দারিদ্রতার কষাঘাতে অভাবের সংসারে একসেট গাইড বই দিয়েই তারা তিন ভাইবোন পড়াশোনা করেছে।
শনিবার (৫ আগষ্ট) বিকালে দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রায়গপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া মজ (ট্রিপলেট বেবি) তিন ভাই-বোনকে তাদের নিজ বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনাসহ পোশাক ও নগদ অর্থ প্রদান করেন মাননীয় রেলমন্ত্রীর নূরুল ইসলাম সুজনের সহধর্মিণী মিসেস শাম্মি আক্তার মনি। এসময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বিরামপুর-নবাবগঞ্জ) সার্কেল মঞ্জুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহিদুল ইসলাম মিলন, প্রভাষক কালীপ্রসন্ন সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহাবুবুল আলম নেনার, ইমরান হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে রেলমন্ত্রীর সহধর্মিণী শাম্মী আকতার মনি বলেন, ‘এই যমজ (ট্রিপলেট বেবি) তিন ভাই-বোনসহ তাদের মা-বাবাকে সাধুবাদ জানাই। তাদের অনেক মেধা আছে। পাশাপাশি বাবা-মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে তারা ভালো ফলাফল করেছে। তাদের মঙ্গল কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্রতাকে পেছনে ফেলে যমজ তিন ভাই-বোন বিরল অর্জনের খবর স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাদের বাড়িতে আসেছি। দরিদ্র পরিবারের এই যমজ তিন ভাই-বোনকে পোষাক ও নগদ অর্থ প্রদান করেছি এবং তাদের শুভেচ্ছা জানানোর উদ্দেশ্য হলো, এতে করে তারা পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ আরও বাড়বে। যমজ তিন ভাই-বোন যতদিন পড়াশুনা করবে তাদের লেখাপড়ার খরচ ততদিন চালিয়ে যাবেন বলেও তিনি আশ্বাস্তত করেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যমজ (ট্রিপলেট বেবি) তিন ভাই-বোনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে একজন জিপিএ-৫ গোল্ডেনও পায়। তাঁদের এই ফলে বাবা-মা,এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী এবং উপজেলাবাসী খুশি ও আনন্দিত।
মা সোহাগিনী হাঁসদা বলেন, আমার কোলে জমজ তিন ছেলে-মেয়ে আসার দিন বাড়িতেও আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। আজ তাদের ভালো রেজাল্টের খবরে বাড়িতে একই আনন্দ বইছে। আমাদের সামান্য জ্ঞান দিয়ে আমার তিন ছেলে মেয়েকে সাধ্যমতো পড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমার স্বামীর সামান্য আয়ে সংসার চলে। দারিদ্রতার কারণে ক্লাসের জন্য তিন ছেলেমেয়েকে আলাদা করে গাইড বই কিনে দিতে পারি নাই। তাই এক সেট গাইড দিয়ে তিন ভাইবোন লেখাপড়া করেছে।ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে। তাদের লেখাপড়ার খরচ সহ অন্যান্য খরচও বাড়ছে। তাদের স্বপ্নপূরণে ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে অনেক খরচ লাগবে। তাই সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে আমাদের সন্তানদের স্বপ্নপূরণ হবে বলে আশা করছি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত