বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি। দিনাজপুরের বিরলে আলোচিত নৈশ্য প্রহরী কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জনাকু (৬৩) খুঁনের ঘটনায় প্রধান আসামী সুবাস ওরফে কাইচালু (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী সুবাস ওরফে কাইচালু উপজেলার রাজারামপুর ইউনিয়নের আজিমপুর (ধনেশ মেম্বারপাড়া) গ্রামের বৈদ্যনাথ রায়ের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সুবাস ওরফে কাইচালুকে শনিবার বিকাল ৬টার দিকে পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে আদালতে সে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারামোতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা। তিনি জানান, নিহত নৈশ্যপ্রহরী কৃষ্ণ কান্ত ওরফে জনাকু রায় খুঁন হওয়ার পর তার ছেলে যাদব চন্দ্র রায় বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত কয়েক দিন ধরে নিরলস প্রচেষ্টা, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিবিড় তদন্ত করে প্রধান হত্যাকারী সুবাস চন্দ্র রায় অরফে কাইচালুকে শনিবার সকালে কাহারোল উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামী সুবাসের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে এ হত্যার সাথে আরো আসামী জড়িত আছে যা তদন্তের সার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
ওসি রেজা বলেন, নিহত নৈশ্য প্রহরী কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জনাকুর সাথে আসামী সুবাসের পূর্বের একাধিক বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সে বিরোধের জের ধরে নৈশ্য প্রহরী কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জনাকুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে সুবাস। নৈশ্য প্রহরী কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জনাকুকে হত্যা করার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটি প্রায় ১ মাস পূর্বেই তৈরী করিয়ে নেয় সুবাস। এরপর সুযোগ বুঝে পরিকল্পিত ভাবে গত ২৮ জুলাই রাতে আরোও আসামীসহ এই লোম হর্ষক হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাত্রি অনুমান ৪ টার দিকে বিরল উপজেলার রাজারামপুর ইউনিয়নের ভদ্রবাজারের নৈশ্যা প্রহরী কৃষ্ণ কান্ত রায় ওরফে জোনাকু খুঁন হয়।