বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অসংক্রামক রোগের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট-২০২৩) সকালে বীরগঞ্জ উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সভাকক্ষে রোগ ও পুষ্টি গবেষণা কেন্দ্র ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ,ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এর বাস্তবায়নে সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার “সমগ্র সরকার” এবং “সমগ্র সমাজের” অংশগ্রহনে বহুক্ষেত্রীয় নীতির মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালার কর্ডিনিটর প্রধান অতিথি হিসেবে বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রশিক্ষণের উদ্বোধন ও সমাপনি বক্তব্য রাখেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী। অসংক্রামক রোগের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা প্রশিক্ষক হিসাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পালিক হেলথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর ডা.আলী আহসান, রিসার্চ মেডিকেল অফিসার ডা.তম্ময় সরকার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা,মহাসিন আলী। উপজেলায় ‘সমগ্র -সরকার, সমগ্র সমাজ’ অংশগ্রহনের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, এনজিও, প্রতিনিধিবৃন্দদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোজেক্ট অফিসার আবুল কালাম আজাদ, রিসার্স এ্যাসিসটেন্স শারমিন আক্তার শাপলা, জুনিয়র ষ্ট্যাতিস্টিয়ান তারেক রহমান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে পরামর্শ বার্তা হিসেবে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট দ্রুত বেগে হাঁটা, নিয়মিত ডায়াবেটিসের মাত্রা, ওজন ও রক্তচাপ মাপা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধুমপান, তামাক এবং মাদক জাতীয় দ্রব্য বর্জন করা, খাবারের সময় কাঁচা এবং অতিরিক্ত লবন গ্রহণ হতে বিরত থাকা, অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা, প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করা, প্রতিদিন কমপক্ষে ৮/১০ গ্যাস পানি পান করা, খাবার ও রান্নার কাজে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি ব্যবহার করা, পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রাখতে শাক সবজি কাটার আগে ধুয়ে নেওয়া, প্রতিদিনের খাবারে আঁশযুক্ত খাবার রাখা, খাদ্য তালিকায় ভাতের পরিমাণ বেশি না রেখে শাক সবজি ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার সমপরিমাণ রাখা, মানসিক দুঃশ্চিন্তা পরিহার করা প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে আহবান জানান।