চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে জনপ্রিয়। এক সময় পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য পেঁপে চাষ করা হতো। এখন অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে সফল হচ্ছেন। রাস্তাধারেসহ পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কৃষক আলতাফ হোসেন।
বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য সবজি কম থাকায় এবং বাজারে পেঁপের চাহিদা বেশী থাকায় রাস্তার পাশের পতিত জমিতে উন্নত ফলনশীল পেঁপেঁ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন কৃষক আলতাফ হোসেন।তিনি রাস্তাধারেসহ পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে সবার অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অন্যদিকে রাস্তার ধারে সারি সারি সবুজ পরিবেশে পেঁপেঁ গাছ দৃষ্টিনন্দন হয়ে পথচারীসহ সবার দৃস্টি কেড়েছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন পেঁপেঁ চাষ করেন।এ কাঝে তাকে তার ছেলেও সহযোগিতা করে। তারা সবধরনের ফসল চাষ করেন।
আলতাফ হোসেন কাচাঁ রাস্তার ধারের আগাছা-জঙ্গল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পরিত্যক্ত জায়গায় সারিবদ্ধভাবে থাইল্যান্ড গ্রীণ ল্যাডি জাতের উন্নতফলনশীল ৪০০ পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। গাছে পেঁপেও ধরেছে। তিনি খানসামার জমিদারনগর থেকে বরলাম বাজার যাওয়ার কাঁচা রাস্তার ধারে লাগানো গত ২৯ আগষ্ট প্রথম ধাপে প্রতিটি গাছ থেকে ৫-৭ কেজি করে মোট ১০ মণের বেশি পেঁপে বিক্রি করেছেন। তিনি বাজারে প্রতিমণ পেঁপে ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে আসছি। আমি সবসময়ই কৃষি অফিসারের পরামর্শে চাষাবাদ করি। এবার নতুন করে পেঁপে চাষ করার কথা বলেন কৃষি অফিসার ইয়াসমিন আক্তার ম্যাডাম।এরই মধ্যে ১০ মণের বেশি পেঁপে বিক্রি করে দামও ভালো পেয়েছি। আগামীতে চাষাবাদের জমি ও রাস্তার দুই ধারে বেশি করে পেঁপে চাষ করবো।
পথচারী ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে হাট-বাজারে যাতায়াত করি৷ পাকা না হওয়ায় রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত জায়গায় আগাছা ও বিভিন্ন জঙ্গল হয়ে ছিল। আলতাফ হোসেন সেসব আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে এবার পেঁপে চাষ করেছেন। তিনি একজন পরিশ্রমী কৃষক।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আলতাফ হোসেন কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে তিনি এ বছর সাড়ে তিন মাসে উচ্চ ফলনশীল গ্রীণ ল্যাডি পেঁপে চাষ করেছেন। বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য সবজি কম থাকায় পেঁপের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তিনি বিষয়টি মাথায় রেখে পেঁপে চাষ করেছেন। আশা করি, তিনি বাজারে ভালো দামে পেঁপে বিক্রি করে লাভবান হবেন।