দিনাজপুর অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কিন্তু টানা বর্ষনে অধিক লাভের আশায় চাষ করা আগাম সবজিসহ ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষক। শহরের রাস্তাসহ নি¤œাঞ্চলের ঘর-বাড়ীতে পানি। গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়েছে শহরের বিভিন্ন রাস্তা। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তার আর ড্রেনগুলোর পানি একাকার। টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে কষ্টে আছে খেটে খাওয়া দিনমজুররা। সাধারণ মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। বৃষ্টিতেই দিনাজপুর শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ডুবেছে কৃষকের বোরো ধান। আগাম শীতকালীন চাষযোগ্য সবজি ফুলকপি, পাতাকপি, সীম, মুলা, কাঁচামরিচ, টমেটো, বরবটি, বেগুন, পালংশাক, লালশাক, লাউ গাছের গোড়ায় পানি। অতি বৃষ্টির ফলে শিকড়ে পচন ধরে চারা মরে যেতে পারে। ক্ষতির মুখে কৃষক।
বীরগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাসেম জানান, উপজেলা বেশির ভাগ শীতের সবজি আবাদ হয় প্রাণনগর গ্রামে। মোট সবজি চাষের পরিমান ৭০হেক্টর জমিতে। আগাম সবজি চাষ একটু কঠিন কাজ। বর্তমানে টানা বৃষ্টির ফলে আগাম সবজি চাষে আশংকার সৃষ্টি হয়েছে।
বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়ি এলাকার জাকির হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে তলিয়েছে ধানের জমি। দীর্ঘদিন ধানের চারা পানিতে ডুবে থাকলে ক্ষতি হতে পারে। আর দুয়েক সপ্তাহ পরে ধান বের হবে। খুব দুশ্চিন্তায় কৃষক।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, রোববার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।