উপবালা রায় ধর্ষন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, কঠোর শাস্তিসহ ন্যায় বিচার প্রাপ্তির দাবীতে দিনাজপুরে অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। দীর্ঘ দেড়বছর অতিবাহিত হলেও কোনো আসামী গ্রেফতার করছে না পুলিশ, চার্জশীট প্রদানেও পুলিশের গড়িমশির অভিযোগ।
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খানসামা উপজেলার টাংগুয়া গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে নিশান চন্দ্র রায়ের পক্ষে উপরোক্ত অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রী প্রমোথ চন্দ্র রায়। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৯ জুলাই বিকেলে কন্যা বিপাশা রায় (১১)সহ উপবালা রায় বাপের বাড়ি থেকে টাংগুয়ায় শশুড়বাড়ি আসার পথে টাংগুয়া (বানিয়া পাড়া) মজিবরের বাড়ির ৩ শত গজের মধ্যে অজ্ঞাত ৫ জন যুবক তার পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং জোরপূর্বক তাকে গনধর্ষন করে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। এর আগে তারা নাবালিকা কন্যা বিপাশাকে মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় পার্শ্বের ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। কন্যা বিপাশা জ্ঞান ফেরার পর মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে অজ্ঞান উপবালাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ উপবালার মৃতদেহ উদ্ধার করে খানসামা থানায় নিয়ে যায়। এরপর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জুলাই পোস্ট মর্টেম শেষে পুলিশের অনুমতিক্রমে স্বজনরা উপবালার লাশ দাহ করেন।
গত ৫ আগষ্ট/২২ ইং তারিখে কন্যা বিপাশার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামী করে স্বামী নিশান চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, উপবালা ধর্ষন এবং হত্যার ঘটনায় জড়িতরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে পুলিশ প্রশাসনযন্ত্র তেমন কাজ করছে না বলেই আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আসামী গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার পেতে ইতিমধ্যেই আমরা মানববন্ধন করেছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,পুলিশ সুপার ,জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় এমপি মহোদয় বরাবর আবেদন নিবেদন করেও মামলার কোনো অগ্রগতি করাতে পারিনি। আমরা উপবালা রায় ধর্ষন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তিসহ ন্যায় সঙ্গত বিচার দাবী করছি। সেই সাথে উপবালা রায়ের নাবালিকা দুই অবুঝ কন্যার ভবিষতের জন্য সরকারের কাছে সাহায্য ও সহযোগীতা চাই।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিতা মথুরা চন্দ্র রায়,মাতা মালতি রানী রায়,স্বামী নিশান চন্দ্র রায়, মেয়ে বিপাশা রায় ও কোলের শিশু কন্যা প্রমুখ।