স্বাধীনতার বাহান্নো বছর পেরিয়ে গেলেও এবং বহুবার যাচাই-বাছাই হলেও ‘ক’ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হলেও সরকারের ভাতাসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরল উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর পুত্র প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরোও বলেন, আমি ইতিপূর্বে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটি কর্তৃক ‘ক’ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্তে¡ও কী এক অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় কর্তৃক আমার নাম গেজেটভুক্ত হয়নি। সে কারণে সরকারের দেওয়া কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা পাচ্ছি না।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে আমি সরকারের ৪০ দিনের কর্মসূচীর আওতায় মাটি কেটে পরিবার এর সদস্যদের ভোরন-পোষন চালাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে অবিলম্বে আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম গেজেটভুক্ত করে সরকারের প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা প্রদান করতে আজ্ঞা হয়।
এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মী এবং ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, মোঃ ইসাহাক আলী ও মোঃ নাজিম স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।